মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর অনুষ্ঠিত ৫৭তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার চতুর্থ দিনের প্রতিযোগিতায় ৯ জন ক্বারি অংশগ্রহণ করেছেন। ৯ জন ক্বারির মধ্যে ৬ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী অংশগ্রহণ করেছেন।
চতুর্থ দিনে সর্ব প্রথমে বসনিয়ার প্রতিনিধি ‘মানসুর মালিকিতাশ’ স্থানীয় সময় ২০:৩০শে কুরআন তেলাওয়াত শুরু করেন। তিনি সূরা শূরা’র ৩৬ নম্বর আয়ত থেকে তেলাওয়াত শুরু করেন।
বার্তা সংস্থা ইকনা’র সাংবাদিকের সাথে ‘মানসুর মালিকিতাশ’ এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমি গাজী খসরাভী বেইক মসজিদে কুরআন তেলাওয়াত শিখেছি এবং বর্তমানে এ মসজিদের ইমাম এবং খতিব হিসেবে কর্মরত রয়েছি। আম ১০ বছর পূর্বে ইউরোপের রাজধানী ক্রোয়েশিয়া অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতা প্রথম স্থানের অধিকারী হয়েছি।
বসনিয়ার প্রতিনিধির পর ব্রুনেই’য়ের দারুস সালাম শহরের ‘ইউগকু মুহাম্মাদ আদিবুল আমিন হাজ্বী মার্জুকী’ সূরা আস-সাফের প্রথম থেকে তেলাওয়াত শুরু করেন। তিনি বার্তা সংস্থা ইকনার সাংবাদিকের সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেন: মালয়েশিয়া, ইরান এবং মিশরের প্রতিনিধিরা এ প্রতিযোগিতা শীর্ষ স্থানে উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এরপর ইন্দোনেশিয়ার ক্বারি ‘ইসরানা বিনতে ইসরাইল বুবুগ’ সূরা আনকাবুতের ৫৬ নং আয়াত থেকে কুরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।
এছাড়াও এ প্রতিযোগিতার প্রথম অধ্যায়ে আলজেরিয়া থেকে ‘ইব্রাহিম মুজাহিদ’ সূরা বাকারার ২০৮ নং আয়াত এবং তাজিকিস্তান থেকে ‘সৈয়দ আশরাফ আলী’ সূরা বাকারা’র আয়াত তেলাওয়াত করেন।
এ প্রতিযোগিতার প্রথম অধ্যায়ের ছোট্ট বিরতির পর কুয়ালালামপুরের প্রাদেশিক মুফতি প্রায় ১৫ মিনিট যাবত বক্তৃতা পেশ করেন। তার বক্তৃতার পর প্রতিযোগিতার চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে থাইল্যান্ডের ‘সুমাইয়া তালুহ দিগ’ সূরা বাকারার ১৫৩ নম্বর আয়ত, ক্রোয়েশিয়ার ‘ওমর আমানুয়ুশ’ সূরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়ত, ভিয়েতনাম থেকে ‘সুলাইমান আব্দুল হালিম’ সূর হাদিদের প্রথম আয়াত এবং তুরস্কের বানু নামের প্রতিনিধি সূরা নিসার ৮০ নম্বর আয়াত থেকে কুরআন তেলাওয়াত করেন।
3313387