বার্তা সংস্থা ইকনা: মিশরের ২৩ বছরের যুবক ‘আহমেদ মুসলিম আহমেদ ওবায়েদ’ বর্তমানে ‘অটিজম’ রোগে ভুগছেন। তবে তিনি ছয় বছরের পূর্বেই পবিত্র কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়াও ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষায় অনুবাদকৃত কুরআন শরিফও হেফজ করেছেন তিনি।
মিশরের এ যুবকের পিতা মদিনায় কাজ করতেন। আর এ সুবাদে আহমেদ মুসলিম আহমেদ ওবায়েদের জন্ম পবিত্র নগরী মদিনায় হয়। জন্মগ্রহণের বেশ কিছুদিন পর তার পিতা মাতা জানতে পারেন তাদের সন্তান ‘অটিজমে’ ভুগছে।
সৌদি আরবের কুরআনিক রেডিও এবং বিভিন্ন স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কে পবিত্র কুরআন এবং বিভিন্ন অনুবাদকৃত কুরআন সম্প্রচারের প্রতি তার বিশেষ দৃষ্টি ছিল। তখন থেকেই তিনি পবিত্র কুরআন হেফজ করা শুরু করেন।
আহমেদের মা এ ব্যাপারে বলেন: “আহমেদ ছয় বছরের আগেই পবিত্র কুরআন শরিফ এবং ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষায় অনুবাদকৃত কুরআন শরিফও হেফজ করতে সক্ষম হয়েছেন।
আহমেদের অটিজমের ফলে তাকে একাডেমিক স্কুলে ভর্তি করা সম্ভব ছিল না। আর এজন্য তাদে মেধা বিকাশের স্কুলে ভর্তি করার জন্য নাম নিবন্ধন করা হয়।
মিশরের ‘আসওয়ান’ প্রদেশের অধিবাসী তারা। আহমেদের পিতা মারা যাওয়ার পর তারা দেশে ফিরে আসেন এবং দেশে ফিরে আসার পর তার মা বুঝতে পারে তাদের সন্তান নির্ভুল এবং সঠিক ভাবে কুরআন হেফজ করেছে। এমনকি তিন কত পৃষ্ঠায় কত নম্বর আয়াত এবং পারা রয়েছে সেগুলোও মুখস্থ করেছে।
আল আজহারের অধ্যাপক এবং পণ্ডিতগণ আহমেদের কুরআন হেফজ মূল্যায়ন করেছেন। তিন (আরবি, ইংরেজি এবং ফরাসি) ভাষায় কুরআন মুখস্থ করার জন্য তাকে প্রশংসিত করেছেন।
আহমেদের মা বলেন: “কুরআন প্রেমী আহমেদ সর্বদা কুরআন হেফজ করার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে থাকত। এমনকি সে কুরআন তেলাওয়াতরত অবস্থায় ঘুমত এবং ঘুম থেকে উঠত। কুরআন তেলাওয়াত শোনার জন্য সর্বদা রেডিও ও টেলিভিশন খুলে রাখত। এমনকি ঘুমের সময়ও পছন্দ করত কুরআন তেলাওয়াত প্রচার হোক”।
তিনি বলেন: “ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় কুরআন হেফজের দক্ষতা শুধুমাত্র তার কুরআনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ”।
আহমেদের মা আরও বলেন: আহমেদের জীবনে পবিত্র কুরআন একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে। তিনি এখন কুরআনের বিভিন্ন তাফসির শেখার জন্য আগ্রহী।
3320605