বার্তা সংস্থা ইকনা: চিঠিতে ইরানের ষষ্ঠ জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক সাধারণ নীতিমালার অংশ হিসেবে এ নির্দেশ দেয়া হয়। বিভিন্ন হুমকি মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সর্বোচ্চ নেতা। এ ছাড়া, ইরানের অস্ত্র ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
এ ছাড়া, ইরানের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বেসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কর্মসূচি উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এ চিঠিতে।
চিঠিতে সাইবার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সর্বোচ্চ নেতা। এ ছাড়া, এতে ইরানের অবকাঠামোর জন্য সাইবার নিরাপত্তা এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধার হয়।
ইরানের জাতীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য জাতীয় বাজেটের অন্তত পাঁচ শতাংশ বরাদ্দের কথা তুলে ধরা হয় এ চিঠিতে। ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আঞ্চলিক পর্যায়ে বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে এ চিঠিতে।
চিঠিতে সীমান্ত নিরাপত্তার প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যাের কৌশল প্রয়োগ, সীমান্তরক্ষী জোরদার করা, গোয়েন্দা তৎপরতার বিকাশ ঘটানো, সীমান্ত কূটনীতি জোরদার করার বিষয়টি এ চিঠিতে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া, ইরানের সীমান্তগুলোতে নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় অধিবাসীদের সহায়তা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে এতে।
পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতির কথা তুলে ধরে এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের রাজনৈতিক অর্জন বজায় রাখতে ও বাড়াতে হবে।
ইরানে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে চিঠিতে সর্বোচ্চ নেতা জানান। এ ছাড়া, অর্থনৈতিক প্রতিরোধের সঙ্গে জড়িত লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য বিশ্ব বাজারে ইরানের প্রবেশ এবং এ সংক্রান্ত প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানোর কথাও বলা হয় এ চিঠিতে।
এ ছাড়া, ইরানের সংবাদ মাধ্যমের বহির্বিশ্ব কার্যক্রম জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। রেডিও তেহরান
3321630