বার্তা সংস্থা ইকনা: দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘দুবাই পুরস্কার’ শিরোনামে ১৯তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত ৮০ জন কুরআনের হাফেজের মধ্যে ৪৫ জনের প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক দেশের প্রতিনিধি বিচারক মণ্ডলী এবং দর্শনার্থীদের মন জয় করেছেন।
১৯তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মাদ যাকারিয়া, ইয়েমেন থেকে আবদুল মুজাহিদ, থাইল্যান্ড থেকে হাসান সামূহে, ব্রিটেন থেকে আজম ইকবাল এবং ইরান থেকে মুহাম্মাদ হুসাইন বেহযাতফার কুরআন হেফজ বিভাগে অংশগ্রহণ করে দর্শক এবং বিচারক মণ্ডলীর মন জয় করেছেন।
ইয়েমেনের ২০ বছরের প্রতিনিধি আবদুল মুজাহিদ গত সোমবার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পর বলেন: ‘এ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থানের অধিকারী হব বলে আশা করছি’।
মুজাহিদ শৈশব থেকেই এক হাফেজ পরিবারের মধ্যে বড় হয়েছেন। গত বছর কুয়েতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশী ১২ বছরের প্রতিনিধি মুহাম্মাদ যাকারিয়া তার সুললিত কণ্ঠ এবং সুস্পষ্ট কুরআন হেফজের মাধ্যমে উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তার কুরআন তেলাওয়াতের সময় দর্শকমণ্ডলীরা তাকে সবথেকে বেশী অনুপ্রেরণা দিয়েছে এবং উৎসাহিত করেছে।
যাকারিয়ার পিতা ঢাকা শহরের একটি মসজিদের আলেম। তিনি ৭ বছর থেকে কুরআন হেফজ করা শুরু করেন। এ পর্যন্ত মিশর, জর্ডান এবং কাতার সহকারে বিভিন্ন কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। যাকারিয়া মিশরে অন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম ও জর্ডানে তৃতীয় এবং কাতারে চতুর্থ স্থানের অধিকারী হন।
তিনি একজন সফল মুবাল্লিগ হয়ে ইসলামের সুন্দর বানী জনগণের মধ্যে পৌছিয়ে দিতে চান।
উল্লেখ্য, দুবাই পুরস্কার প্রতিযোগিতা প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে হেফজ বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতা ২৪শে রমজান পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
3321888