বার্তা সংস্থা ইকনা: ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে আরো অধিক হারে ফিলিস্তিনি তরুণীরা অংশগ্রহণ করছেন। অধিকৃত ফিলিস্তিনে গত কয়েক দিন ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যা মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ার পরও এ ধরনের বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস্তিনের অকুতোভয় তরুণীরা।
ইসরাইলি সেনাদের রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড এবং তাজা গুলিকে অনায়াসে উপেক্ষা করে বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠছেন এ সব ফিলিস্তিনি তরুণী। এমনকি আটকাভিযান এবং ভয়াবহ নির্যাতনের বাস্তবতাও তাদেরকে বিক্ষোভ সংগ্রামের পথ থেকে টলাতে পারছে না। মাতৃভূমি মুক্ত করার এ প্রয়াস চালাতে গিয়ে হতাহত হওয়ার ঝুঁকি হাসি মুখেই বরণ করছেন এ সব নারী।
শনিবার গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী বিমান হামলায় শহীদ হয়েছেন এক ফিলিস্তিনি গর্ভবতী মা এবং তার তিন বছরের শিশুকন্যা। বুধবার এক ইহুদিবাদীর গুলিতে আল-কুদসে (জেরুজালেম) আহত হয়েছে অপর এক ফিলিস্তিনি নারী।
ফিলিস্তিনি এক ছাত্রী এ সম্পর্কে বলেছেন, সমাজের অর্ধেক অংশই নারী, কাজেই নারীদেরও দেশ রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।পশ্চিম তীরের রামাল্লার একটি ইসরাইলি সামরিক চেক পয়েন্টের কাছে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে ‘পাথর যুদ্ধে’ অংশগ্রহণ করার অবকাশে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। আরেক ফিলিস্তিন তরুণী বলেন, সবাই যদি ভয় পায় তবে কেউ আর আত্মত্যাগ করতে এগিয়ে আসবে না।
এ ছাড়া, ইহুদিবাদী সেনাদের গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য যে শোক মিছিল করা হয় তাতেও তরুণীদের উপস্থিতি আগের তুলনায় বাড়ছে। সাহিত্যের প্রথম বর্ষের এক ফিলিস্তিনি ছাত্রী বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইনতিফাদা বা গণ আন্দোলন চলছে, চলবে।
3384505