IQNA

মিয়ানমারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না মুসলিম ভোটারগণ

23:24 - November 08, 2015
সংবাদ: 3444919
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ১ লাখের মধ্যে ৫ শতাংশ মুসলিম অধিবাসী রয়েছে। এসত্ত্বেও সেদেশের বৌদ্ধ দল "আলট্রা-ন্যাশনালিস্ট" চাপের কারণে মুসলমানেরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না।

বার্তা সংস্থা ইকনা: মিয়ানমারে আজ (৮ম নভেম্বর) ঐতিহাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। কিন্তু এ নির্বাচনে অধিকাংশ মুসলিম ভোটারগণ ভোট দিতে পারছেন না । রাখাইন অঞ্চলের কেন্দ্রীয় শহর মায়ুংড এবং এর পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু এলাকায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের ভোটের দিন বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির পুলিশ বাহিনী। বাড়ী থেকে বের হলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় দা বার্মা টাইমস পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাখাইন অঞ্চলের প্রবীণ রোহিঙ্গাদের সাথে বৈঠক করেছে পুলিশ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ বৈঠকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বাড়ীতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এ নির্দেশ অমান্য করলে তাদের উপর গুলো করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালে এক প্রদর্শনমূলক নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে সেনা-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা ইউএসডিপি।
৬৬৪ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টে প্রায় ৯০টি রাজনৈতিক দলের অন্তত ৬,০০০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অবশ্য এসব আসনের শতকরা ২৫ ভাগ বরাদ্দ রাখা হয়েছে অনির্বাচিত সামরিক প্রতিনিধিদের জন্য।
মিয়ানমারের আজকের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন প্রায় তিন কোটি। দেশটির বেশিরভাগ মুসলমান নিবন্ধিত ভোটার নন বলে তারা ভোট দিতে পারছেন না। আগামীকাল সকালের আগে সুস্পষ্ট কোনো ফলাফল ঘোষণা সম্ভব হবে না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে সু চি ভোটকেন্দ্রে গেলে সেখানে তার বিপুল সংখ্যক সমর্থক সমবেত হয়। ভোট দেয়ার পর গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা না বলেই বেরিয়ে যান তিনি।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সেনা-সমর্থিত সরকারের বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। তিনি রাজধানী নাই পি তাউ’য়ের একটি স্কুলে ভোট দিয়েছেন। ২০০৫ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রাজধানী মিয়ানমার থেকে সরিয়ে নাই পি তাউ’য়ে নিয়ে আসে।
3444508

captcha