IQNA

কুরআন কি বলে / ৪

কুরআন কীভাবে হেদায়েত করে?

15:15 - June 01, 2022
সংবাদ: 3471936
তেহরান (ইকনা): ঐশ্বরিক গ্রন্থসমূহে কখনও কখনও আধ্যাত্মিকতা বাড়াতে এবং ইবাদতের পদ্ধতি বোঝানো হয়। আর এ থেকে বোঝা যায় যে, এই গ্রন্থসমূহ হেদায়েত তথা পথ প্রদর্শক হিসেবে নাযিল হয়েছে। তবে এসকল ঐশ্বরিক গ্রন্থসমূহের মধ্যে পবিত্র কুরআন অতি আশ্চর্যজনকভাবে হেদায়েতের ধারণাগুলো দেখিয়েছে।
মানব জীবনের সীমিত সময়ে হেদায়েত প্রাপ্তির জন্য পবিত্র কুরআনের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। কুরআনের হেদায়েত সমস্ত মানব জাতির জন্য। অর্থাৎ এমন নয় যে, পবিত্র কুরআনের একটি অংশে মানব জাতিকে হেদায়েত করে এবং অন্য অংশে মানব জাতির প্রয়োজন সমূহ ব্যক্ত না করে এড়িয়ে যায়। 
জীবনের প্রতিটি অংশ কুরআনের ভূমিকা রয়েছে এবং সঠিক ভাবে হেদায়েতের জন্য তথ্য রয়েছে। মানব সমাজের ইস্যু, মানব ও মানব সমাজের প্রশাসন, মানব সমাজ পরিচালনা করার জন্য ন্যায়বিচার, পরিচালনামূলক আচরণের প্রশাসন এবং শত্রুদের মোকাবেলা করার পন্থ এবং প্রতিরোধ করা সহ সকল তথ্য পবিত্র কুরআনে ব্যক্ত হয়েছে।
وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ
ভাল ও মন্দ সমান নয়। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। 
সূরা ফুস্সিলাত, আয়াত ৩৪। 
পরিবারের উদ্দেশ্যে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে: 
رَبَّنا هَب لَنا مِن اَزواجِنا وَ ذُرِّیَّتِنا قُرَّةَ اَعیُن
 ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রীবর্গ ও সন্তান-সন্ততির মাধ্যমে আমাদের চক্ষুসমূহের উজ্জ্বলতা দান কর। 
সূরা ফুরকান, আয়াত ৭৪।
মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন অর্থাৎ শান্তি, আধ্যাত্মিকতা, সাধু এবং মনস্তাত্ত্বিক শান্তির বিষয়ে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে:
فَاَنزَلَ اللهُ سَکینَتَه عَلی رَسولِه؛ وَ عَلَی المُؤمِنین
 
আল্লাহ তাঁর রসূল ও মুমিনদের উপর স্বীয় প্রশান্তি নাযিল করলেন 
সূরা ফাতাহ, আয়াত ২৬।
وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا قَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُواْ اللّهَ مَا لَكُم مِّنْ إِلَـهٍ غَيْرُهُ هُوَ أَنشَأَكُم مِّنَ الأَرْضِ وَاسْتَعْمَرَكُمْ فِيهَا فَاسْتَغْفِرُوهُ ثُمَّ تُوبُواْ إِلَيْهِ إِنَّ رَبِّي قَرِيبٌ مُّجِيبٌ
 
মহান আল্লাহ সুন্দরভাবে জীবন যাপনের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করেছেন।
وَاسْتَعْمَرَكُمْ فِيهَا
তিনি তোমাদের তাতে বসবাস করিয়েছেন।
সূরা হুদ, আয়াত: ৬১।
আর পৃথিবী বাসযোগ্য করার কারণে মানুষ জ্ঞান, প্রকৃতি সত্যতা এবং মানুষের স্বত্ত্র আচরণের দিকে ধাবিত হতে পেরেছে এবং মহাবিশ্বের সত্যগুলি আবিষ্কার করতে সক্ষম হচ্ছে। 
وَ لا تُصَعِّر خَدَّکَ لِلنّاسِ وَ لا تَمشِ فِی الاَرضِ مَرَحًا
এবং তুমি অহমিকাবশত মানুষকে অবজ্ঞা করবে না এবং ভূপৃষ্ঠে সদর্পে বিচরণ করবে না।
সূরা লুকমান, আয়াত ১৮।
* পবিত্র কুরআনের সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের আলোকে অনুষ্ঠিত মাহফিলে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর বক্তব্য থেকে সংগৃহীত
* আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী (জন্ম ১৯৩৯) হলেন মুজতাহিদ এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। তিনি ইসলামী শিক্ষার প্রবর্তনে অসংখ্য গ্রন্থ লিখেছেন।

 

সংশ্লিষ্ট খবর
captcha