ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আল-খলিলি টুইট করেছেন যে, ভারত সরকার চালাচ্ছে যে দল তার মুখপাত্রের এমন "অশ্লীল" মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। এই মন্তব্যের অর্থ "প্রত্যেক মুসলমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" ঘোষণা করা। টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টার্গেট করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সৌদি আরব, কুয়েত এবং বাহরাইনের মতো উপসাগরীয় দেশগুলির অনেক সুপারস্টোর ভারতীয় পণ্য সরিয়ে দিচ্ছে।
কাতার এবং কুয়েত রবিবার ভারতের রাষ্ট্রদূতদেরও তলব করেছে এবং তাদের কাছে প্রতিবাদী চিঠি দিয়েছে। তাঁরা বলেছে যে উপসাগরীয় দেশগুলি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের তাঁরা নিন্দা করছেন। কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে যে রবিবার কুয়েতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছিল।
কাতারের বিদেশ মন্ত্রণালয় তার বিবৃতিতে বলেছে যে এই ধরনের ইসলামফোবিক মন্তব্যকে শাস্তি ছাড়াই চলতে দেওয়া উচিৎ নয়। এটা মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং এর ফল আগামী দিনে আরও খারাপ হতে পারে। সেটা ভারতের নিজের জন্যও খারাপ হতে পারে। এমন মন্তব্য হিংসা এবং ঘৃণাকে বাড়িয়ে তোলে। বিশ্বজুড়ে দুই বিলিয়নেরও বেশি মুসলমান মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর নির্দেশ অনুসরণ করে। তিনি শান্তির বার্তা দেন। মানুষের মধ্যে সুন্দর বোঝাপড়া এবং সহনশীলতার বার্তা দেন।
বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, কাতারের সহনশীলতা, সহাবস্থান এবং সকল ধর্ম ও জাতীয়তার প্রতি শ্রদ্ধা রইল। মানবিক মূল্যবোধের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কাতারে ভারতীয় দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে "রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন যে টুইটগুলি কোনওভাবেই ভারত সরকারের মতামতকে প্রতিফলিত করে না।"
মুখপাত্র বলেছেন যে কাতারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল বিদেশ দপ্তরে একটি বৈঠক করেছিলেন যেখানে ভারতের ব্যক্তিদের দ্বারা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে অবমাননা করে এমন কিছু আক্রমণাত্মক টুইটের বিষয়ে উদ্বেগ উত্থাপিত হয়েছিল। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি তাদের জাতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে বরখাস্ত করেছে এবং চাপের মুখে এও জানানো হয়েছে যে বিজেপি সমস্ত ধর্মকে সম্মান করে এবং যে কোনও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অপমানকে দৃঢ়ভাবে নিন্দা করে। iqna