IQNA

তেহরানে শহীদ আমির আবদুল্লাহিয়ানের দাফন

21:34 - May 24, 2024
সংবাদ: 3475499
ইকনা: ইরানের প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকদিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানী তেহরানের রেই শহরে শাহ আব্দুল আযিম (আ.)এর পবিত্র মাযারে তাকে দাফন করা হয়েছে।

আমির আবদুল্লাহিয়ানের দাফন অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে তিনি একজন শহীদ হিসেবে বর্ণনা করেন। বলেন, আমির আবদুল্লাহিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন।
 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমির আবদুল্লাহিয়ানের মৃত্যু অবশ্যই ইরানের কূটনৈতিক ব্যবস্থার জন্য একটা বড় ক্ষতি। তবে পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইরানের দ্রুত অগ্রগতিতে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।
 
এদিকে ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদে দাফন করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ ইব্রাহিম রাইসিকে। নিজ শহর দক্ষিণ খোরাসানের মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজারে দাফন করা হয় তাকে। 
 
গত শনিবার (১৮ মে) একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। রোববার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন তিনি।
 
সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
 
কয়েক ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারটিতে থাকা সব আরোহীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে ইরান সরকার। তবে অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। সোমবার (২০ মে) সবার লাশ উদ্ধার করা হয়। এবং তা পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে আনা হয়। 
 
বুধবার (২২ মে) রাইসি ও অন্যান্যদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এদিন সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসি ও তার সঙ্গীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে দেশটির রাজধানী তেহরানে ঢল নামে লাখো মানুষের।
 
রাইসি ও সহযোগীদের কফিনগুলো সকাল সাড়ে ৭টায় খোরাসান রাজাভির বিরজান্দ শহরে নেয়া হয়। সেখানে কফিনের গাড়িকে গ্রহণ করেন ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর কফিনগুলোকে মাশহাদের নেজাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।
 
সেখানে তাদেরকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছেনে কয়েক লাখ মানুষ। এই সময় শোকের প্রতীক কালো পোশাক পরিহিত অধিবাসীদের হাতে হাতে দেখা যায় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রাইসির ছবি। তারা রাইসি ও তার সঙ্গীদের প্রতি শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

captcha