
ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর বাণী: “আমাদের শিয়ারা তারাই, যারা আমাদের সুন্নত অনুসরণ করে এবং আমাদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলে” (বিহারুল আনোয়ার, খণ্ড ৬৫, পৃষ্ঠা ১৬২)-এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শিয়া মুবাল্লিগ ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য ও বক্তব্য
সম্মেলনে ধর্মীয় ঐক্য, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বাংলাদেশ শিয়া উলামা কাউন্সিলের সভাপতি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী তার বক্তব্যে সমাজে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য রাসূলুল্লাহ ও ইমামদের সুন্নত অনুসরণ ও মানবিক মূল্যবোধ চর্চার আহ্বান জানান। তিনি মুবাল্লিগদেরকে শিয়া সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরে সম্প্রীতি রক্ষা এবং ধর্মীয় জ্ঞান প্রচারে নিবেদিত হওয়ার পরামর্শ দেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মাওলানা আফতাব হোসেন নাকাভী, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনড. আনোয়ারুল কবীর আরিফ এবং হুজ্জাতুল ইসলাম মাহাদী হাসান। সম্মেলনটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের জনসংযোগ সম্পাদক মাওলানা আমজাদ হোসেন।
অংশগ্রহণ ও সমাপনী
উত্তরবঙ্গের রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, নীলফামারী, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার মসজিদ, ইমামবাড়া ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ও মুবাল্লিগগণ এতে অংশ নেন। সম্মেলনের শেষে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মাওলানা আফতাব হোসেন নাকাভী-এর ইমামতিতে যোহর ও আসরের নামাজ আদায় করা হয়।
এ সম্মেলনের মাধ্যমে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ শিয়া সম্প্রদায়ের ঐক্য সুদৃঢ়করণ, ইসলামী শিক্ষার প্রসার এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। অংশগ্রহণকারীরা সমাজে নৈতিকতা ও মনুষ্যত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। মিডিয়া মিহির