ইকনা সূত্রে, ওয়েবসাইট ‘আল-আখবারিয়া’ জানিয়েছে: এমিল রজে লোমবার্তি, ফ্রান্সের লিমোজ শহরের এক চরম ডানপন্থী মেয়র, মুসলিমদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে মুসলিম বাসিন্দারা ওই এলাকাগুলোকে সহিংসতা ও আইনের প্রতি অবজ্ঞার কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেছেন।
এই বক্তব্য লিমোজ শহরের ভ্যাল-দ’ওরলেয়ান পাড়ায় সাম্প্রতিক বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে এসেছে।
এক সাক্ষাৎকারে লোমবার্তি দাবি করেন যে, ফ্রান্সের কিছু অঞ্চলে পুলিশের সঙ্গে যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে মূলত "ইসলামি আদর্শের সঙ্গে চরম-বাম রাজনীতির বিশেষ করে ‘লা ফ্রঁস ইনসুমিস’ (ফ্রান্স অনমনীয়) দলের জোটের" কারণে।
তিনি আরও একধাপ এগিয়ে মুসলিমদের ‘পশুর’ সঙ্গে তুলনা করেন এবং বলেন, এই এলাকায় যা ঘটছে তা নাকি ‘আলজেরিয়ার যুদ্ধ’-এর মতো। তার এই মন্তব্যে মুসলিম, বিশেষ করে আলজেরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসিদের প্রতি গভীর বৈরিতা ও ঔপনিবেশিক মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে।
তার এসব বক্তব্য ফ্রান্সের মানবাধিকার সংস্থা ও মুসলিম সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এসব সংস্থা বলেছেন, এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য সরাসরি ঘৃণা ও সহিংসতায় প্ররোচনা দেয় এবং ফ্রান্সে কিছু নেতার ভাষায় ইসলামবিদ্বেষ কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে, তারই প্রমাণ।
গত কয়েক দিনে লিমোজ শহরে সহিংস প্রতিবাদ হয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ দেখা গেছে। প্রতিবাদকারীদের ওপর ১৭০টিরও বেশি গুলি চালানো হয়েছে এবং ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুনরায় বিক্ষোভের আশঙ্কায় সরকার ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, বিশেষ পুলিশ ও দাঙ্গা দমন ইউনিট মোতায়েন করেছে।
এই ধরনের বর্ণবাদী ও ঘৃণামূলক বক্তব্য শুধুমাত্র বৈষম্য ও উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বৈষম্য ও সামাজিক অস্থিরতার মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার পরিবর্তে, কিছু রাজনীতিক ইসলামকে সবকিছুর জন্য দোষারোপ করে এবং আলজেরিয়া ইস্যুকে প্রতিটি অস্থিরতা ও সামাজিক আলোচনার কেন্দ্রে টেনে আনেন। 4296879#