জাকিমের মহাপরিচালক সেরাজুদ্দিন সহেমি বলেছেন, এই কর্মসূচিটি ৬৫তম আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত ও হিফজ প্রতিযোগিতার (MTHQA) সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে, যা ২ থেকে ৯ আগস্ট কুয়ালালামপুরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সঠিক তিলাওয়াত ও কুরআনের তাদাব্বুর (গভীর অনুধাবন ও চিন্তন) এবং এই বার্তাটি তুলে ধরা যে কুরআন পাঠ ও অনুধাবন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি প্রতিদিনের ইসলামী জীবনধারার অংশ হিসেবে যেকোনো জায়গায় চর্চা করা যেতে পারে।
সেরাজুদ্দিন বলেন, এটি সমাজের প্রতি একটি আন্তরিক আহ্বান যে কুরআনকে জীবনের এক স্থায়ী সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করা উচিত— এমন এক সঙ্গী, যাকে বোঝা, অনুভব করা এবং যার উপর চিন্তা করা দরকার।
তিনি আরও যোগ করেন, এই কর্মসূচিটি ইসলামি কেন্দ্র, মসজিদ, ধর্মীয় স্থান এবং নির্ধারিত সামাজিক স্থানে বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে অংশগ্রহণকারীরা কুরআনের বার্তাকে আরও গভীর, ব্যক্তিগত ও চিন্তনমূলক উপায়ে উপলব্ধি করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশে রয়েছে ‘সবখানে কুরআন’ নামের একটি বিশেষ উদ্যোগ, যা বুকিত বিনতাং এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এর মূল বার্তা হচ্ছে: কুরআনকে এমন এক ঘনিষ্ঠ ও সহজলভ্য দিকনির্দেশক হিসেবে দেখা উচিত যা সময় ও স্থানের ঊর্ধ্বে থেকে জীবনে পথপ্রদর্শক হতে পারে।
‘কুরআনের উপর গভীর চিন্তন’ শীর্ষক এই কর্মসূচিকে বিভিন্ন সংস্থা সহায়তা করছে, যার মধ্যে রয়েছে জাকিম সচিবালয়, কুয়ালালামপুর পৌরসভা (DBKL), শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা এবং কয়েকটি মসজিদ। 4297244#