IQNA

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের বৃদ্ধি

10:24 - August 07, 2025
সংবাদ: 3477838
ইকনা- ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্বেষজনিত অপরাধ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছেG
ইকনা-র তথ্যমতে রুশিয়া আল-ইয়াওম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ (Hate Crimes) ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হারে নথিভুক্ত হয়েছে, যতদূর পর্যন্ত এফবিআই এই ধরনের হামলার তথ্য সংগ্রহ করে আসছে।
এফবিআই-এর Crime Data Explorer-এর নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্ণবাদপ্রসূত অপরাধ এখনো প্রবাহমান এবং এর কোনো উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা যাচ্ছে না।
যদিও ২০২৪ সালে বিদ্বেষজনিত অপরাধ আগের বছরের তুলনায় ১.৫ শতাংশ কমেছে, তবুও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, এই সংখ্যা এখনও বেশ উদ্বেগজনক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে চলমান বর্ণবাদী হামলার ইঙ্গিত বহন করে।
এফবিআই জানায়, ২০২৩ সালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের ১১,৬৭৯টি ঘটনা রিপোর্ট করেছে।
Axios-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই সংখ্যা পৌঁছায় ১১,৮৬২-এ, যা ছিল রেকর্ড সর্বোচ্চ। সেই সঙ্গে আরও ১৩,৬৮৩টি অপরাধ নথিভুক্ত হয়েছে, যেগুলোর কারণ ছিল বর্ণ, জাতিগোষ্ঠী, জাতীয়তা, ধর্ম, প্রতিবন্ধিতা, লিঙ্গ বা লিঙ্গ-পরিচয়ের প্রতি বিদ্বেষ।
এফবিআই-এর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের অর্ধেকেরও বেশি ছিল বর্ণ ও জাতিগত বিদ্বেষজনিত। আফ্রিকান-আমেরিকানরা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। এরপর আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকান ইহুদি, আমেরিকান মুসলিম এবং শিখ জনগোষ্ঠী।
Anti-Defamation League-এর নির্বাহী পরিচালক জোনাথন গ্রিনব্ল্যাট বলেন, “২০২৪ সালে এফবিআই যে রেকর্ডসংখ্যক ইহুদিবিদ্বেষী অপরাধ নথিভুক্ত করেছে, তা আমাদের সংগঠনের পর্যবেক্ষণের সাথে মিল রাখে।”
মায়া বেরি, আরব-আমেরিকান ইনস্টিটিউট-এর নির্বাহী পরিচালক বলেন: “আরব-আমেরিকান, এশিয়ান-আমেরিকান, আফ্রিকান-আমেরিকান, ইহুদি, লাতিনো, অভিবাসী ও অন্যান্য গোষ্ঠী বহুদিন ধরেই এ ধরনের সহিংসতার ব্যাপারে সতর্ক করে আসছে। এটি নতুন কিছু নয়, তবে এখনো উপেক্ষিত হয়ে আসছে।”
বর্তমানে অধিকারকর্মীরা মার্কিন কংগ্রেসে ‘বিদ্বেষ অপরাধ রিপোর্টিং উন্নয়ন আইন’ (Better Hate Crime Reporting Law) পাসের জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই দ্বিদলীয় বিলের উদ্দেশ্য হলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বাধ্য করা যাতে তারা বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের তথ্যভাণ্ডার বিস্তৃত করে এবং এ ধরনের অপরাধ ও বর্ণবাদী ঘটনার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে। 4298624#
 
captcha