ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে ইয়েমেন থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে এবং সেগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর দাবি, একটি ক্ষেপণাস্ত্র লোহিত সাগরে পড়েছে এবং আরেকটি আকাশেই বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ায় এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরপরই অধিকৃত ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোতে—যেমন জেরুজালেম, তেলআবিব, মৃত সাগর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকায়—হুঁশিয়ারি সাইরেন বাজতে শুরু করে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে সব ধরণের ফ্লাইট আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকালেই ইয়েমেনি বাহিনী ‘যুলফিকার’ ও ‘ফিলিস্তিন’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অধিকৃত তেলআবিবের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে বিমানবন্দর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহইয়া সারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত হেনেছে। এতে লাখো ইসরায়েলি নাগরিক বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে এবং বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই হামলা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর অব্যাহত নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ এবং ইয়েমেনের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব। 4303307#