IQNA

জাতিসংঘ: মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ৭১০০-রও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করেছে

10:47 - September 03, 2025
সংবাদ: 3477997
ইকনা- জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক প্রতিবেদন, যা মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে, এতে ফাঁস করা হয়েছে যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তত ৭১০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে রাখাইন (আরাকান) রাজ্যে হত্যা করেছে, যাদের এক-তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু।

ইকনা- নিউজ এজেন্সি আল-জাজিরা সূত্রে জানায়, এ প্রতিবেদনে রাখাইনে চলমান সংকটের অবনতি, হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গ্রাম পোড়ানো এবং গণ-জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেদনে নথিভুক্ত হয়েছে যে, অন্তত ২৯ হাজার ৫৬০ জন রাজনৈতিক কারণে আটক হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২২ হাজারেরও বেশি এখনো সামরিক নিয়ন্ত্রিত আদালতে ন্যায্য বিচারের নিশ্চয়তা ছাড়াই আটক রয়েছেন।
প্রতিবেদনটি আরও জোর দিয়ে বলেছে যে সংঘর্ষ বৃদ্ধির পর থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, নভেম্বর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এবং এর আগে এখানে থাকা প্রায় ১০ লাখ শরণার্থীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফোল্কার তুর্ক বলেছেন: রোহিঙ্গা ও রাখাইন—উভয় সম্প্রদায়ের বেসামরিক লোকজন এখনো সংঘাতের পরিণতি ভোগ করছে এবং সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে বেসামরিকদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে।
তিনি সেনাবাহিনীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, জোরপূর্বক গুম, স্বেচ্ছাচারী আটক, অগ্নিসংযোগ ও সম্পদ ধ্বংস এবং ধারাবাহিক অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ এনেছেন।
তুর্ক বলেছেন, এ সকল লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতা সেনাবাহিনীর প্রায় সম্পূর্ণ দায়মুক্তির ফল এবং তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন যে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সময় আমরা যে মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ও ভিডিও দেখেছিলাম, তা আবারও পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
এ সকল অপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘনের মুখে, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার আবারও আহ্বান জানিয়েছেন যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রেরণ করা হোক। 4303144#

captcha