ইকনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রয়টার্স জানায় যে বৃহস্পতিবার ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী লাদাখে কারফিউ জারি করেছে। সাম্প্রতিক কয়েক দিনে এ অঞ্চলে সহিংস প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ফেডারেল অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন ও চাকরির কোটার দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত চারজন নিহত হন।
এলাকা থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, দোকানদার ও সাধারণ মানুষ পুলিশের সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং কারগিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রেক্ষিতে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। এই অ্যালায়েন্সটি অঞ্চলের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে।
লাদাখের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হানিফা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বলেন, “আমি আমাদের শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়সংগত, নিরপেক্ষ ও সময়সীমাবদ্ধ তদন্ত দাবি করছি।” তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর সহায়তা এবং এই মৃত্যুর জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতারও আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, লাদাখ অঞ্চলটি বৌদ্ধ-মুসলিম অধ্যুষিত এবং চীনের সীমানা সংলগ্ন। ২০১৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার লাদাখকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে পৃথক করে সরাসরি দিল্লির অধীনে আনে, ফলে এর স্বায়ত্তশাসন বাতিল হয়। লেহ ও কারগিল নামে দুটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা এ অঞ্চলের জনবহুল এলাকা, যা ১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। 4307046#