
আনাদোলু এজেন্সি এবং অন্যান্য সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইসলামিক কমিউনিটি মিল্লি গোরুশ (আইজিএমজি) এবং তুর্কি-ইসলামিক ইউনিয়ন ফর রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স (ডিআইটিআইবি)-এর অধীনস্থ দুটি কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরের দেয়ালে হামলাকারীরা "আইডিএফ" (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংক্ষিপ্ত রূপ) এবং "ইসরায়েল" শব্দগুলো স্প্রে করে লিখেছে।
আয়াসোফিয়া মসজিদ সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম কিদিক আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, মুসলিম সম্প্রদায় এই ঘটনায় গভীর শোক এবং আঘাত পেয়েছে। তিনি এই হামলাকে তীব্র নিন্দা করেন এবং দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত ও শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। কিদিক বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে লক্ষ্য করে হামলা ধর্মীয় শান্তির জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ জড়িত রয়েছে। হামলাকারীদের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত। কিছু সূত্র অনুমান করছে যে এটি উস্কানিমূলক কাজ হতে পারে, যা মুসলিম এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
হানোফারে তুরস্কের কনস্যুলেট জেনারেল জার্মান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করা, দোষীদের গ্রেপ্তার এবং তুর্কি মসজিদ, সমিতি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছে।
জার্মান ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশটিতে ৯৩০টি ইসলামফোবিক অপরাধ নথিভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩১টি মসজিদে হামলা। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে শারীরিক আক্রমণ, হুমকি, ঘৃণা ছড়ানো, সম্পত্তির ক্ষতি ইত্যাদি।
জার্মানিতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন, যা ফ্রান্সের পর পশ্চিম ইউরোপে দ্বিতীয় বৃহত্তম। এর মধ্যে তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলিমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলামফোবিয়া এবং ঘৃণামূলক হামলা বেড়েছে।
এই ঘটনা ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ঘটেছে, যদিও কর্তৃপক্ষ এখনও স্পষ্ট উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে পারেনি। 4322299#