বার্তা সংস্থা ইকনা: জর্ডানে 'আল হাশিমী’ শিরোনামে তিলাওয়াত ও হেফজের আলোকে ১১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থানরে অধিকারী সামা বাবায়ী বার্তা সংস্থা ইকনার সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেন: জর্ডানরে রাজধানী আম্মানে আজ (১৫ই এপ্রিল) দুপুরে ১১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন: সমাপনী অনুষ্ঠানে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সেদেশে অবস্থিত ইরানি রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী সহ দূতাবাসের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইরানি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রতিনিধি 'সামা বাবায়ী' আরও বলনে: এ প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে আমি প্রথম স্থানের অধিকারী হয়েছি। এছাড়াও বাহরাইন, কাতার, ফিলিস্তিন ও মৌরিতানিয়ার প্রতিনিধিরা যথাক্রমে দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম স্থানের অধিকারী হয়েছেন।
তিনি বলেন: কুরআনের মালিক এবং আহলে বায়েতের (আ.) অসীম কৃপা ও অনুগ্রহে এবং আমার মায়ের অপরিসীম প্রচেষ্টা ও বন্ধুদের দোয়া ও সাহায্যের কারণে আমি আজ সফল হতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন: বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়েছে। সমাপনি অনুষ্ঠানের শেষে জর্ডানের একটি টেলিভিশন চ্যানেল আমার সাক্ষাতকার গ্রহণ করে। এখন আমি হোটেলে আছি এবং ইরানে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
ইরানের রাজধানী তেহরানে ‘সামা বাবায়ী’ জীবনযাপন করেন। তিনি ইরানের ৩৮তম জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় ৮৫.৬১ নম্বর অর্জন করে শীর্ষ স্থানের অধিকারী হয়েছেন।
জর্ডানে ১১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় তিনি তার সুললিত কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করে সকলকে মুগ্ধ করেছেন এবং নির্ভুল হেফজে ও তিলাওয়াত করে প্রথম স্থানের অধিকারী হয়েছেন।
জর্ডানের আওকাফ এবং ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে দেশটির রাজধানী আম্মানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৯ম থেকে ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত ‘আল হাশিমী’ শিরোনামে ১১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জর্ডানের তিন জন, লেবাননের এক জন এবং মরক্কোর এক জন বিচারক প্রতিযোগিতার বিচারকর্য সম্পন্ন করেছেন।
iqna