হযরত ইমাম জাফর সাদিক(আ.) হযরত আবুল ফজলের (আ.) মর্যাদা প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতি অনুগত ছিলেন, আপনি তাঁর সঠিক অবস্থানের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং আল্লাহর এই হুজ্জাত তথা নিজ ইমামের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন ও তাঁর কল্যাণকামী ছিলেন। আপনার এতসব কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষার জন্য আল্লাহ আপনাকে শহীদদের মধ্যে স্থান দিয়েছেন এবং আপনার আত্মা বা মন-প্রাণকে সৌভাগ্যবান আত্মাদের সঙ্গী করেছেন।
পবিত্র কোরআনে এসম্পর্কে বলা হয়েছে: «أَیُّهَا الَّذینَ آمَنُوا أَطیعُوا اللَّهَ وَ أَطیعُوا الرَّسُولَ وَ أُولِی الْأَمْرِ مِنْکُم؛
হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূল ও তোমাদের মধ্যে যারা নির্দেশক, তাদের আনুগত্য কর ;
সত্য হল এই যে, এর উদ্দেশ্য মাসুম ইমামগণ। কেননা, আল্লাহ যেভাবে নিজের ও নিজ রাসূলের শর্তহীন আনুগত্যের নির্দেশ দান করেছেন, সে একইভাবে তাঁদের শর্তহীন আনুগত্যও সমুদয় বান্দার ওপর ফরজ করেছেন। এভাবে তাঁরা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতিনিধি সাব্যস্ত হন এবং তাঁদের মাসুম হওয়াও আবশ্যক হয়। কেননা, একদিকে এ কথা বিবেক গ্রহণ করতে পারে না যে, আল্লাহ গুনাহগারদের অনুগত হতে আদেশ করবেন। অন্যদিকে মহানবী (সা.)-এর বংশের বার ইমাম ভিন্ন কোন ব্যক্তিই এরূপ নিষ্পাপত্বের দাবি করতে পারে না।
আর হযরত আব্বাস(আ.) পবিত্র কোরআনের নির্দেশ অনুযায়ী তার যুগের ইমামের প্রতি শর্তহীন আনুগত্য প্রকাশ করেছেন।
কারবালার ঘটনায় হযরত আবুল ফজল আব্বাস (আ.)'র অশেষ আত্মত্যাগ, আনুগত্য ও বীরত্ব তাঁকে পরিণত করেছে এই বিপ্লবের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বে এবং খোদায়ী আনুগত্যের অমর প্রতীকে। তিনি ছিলেন কারবালায় ইমামের বাহিনীর অন্যতম প্রধান সেনাপতি ও পতাকাবাহী।
আর এ জন্যই তার শাহাদাতের পর ইমাম হুসাইন(আ.) বলেছিলেন, এখন আমার কমর ভেঙ্গে গেছে।