
আনন্দবাজারের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: খবরে বলা হয়, সম্প্রতি আমেরিকার টেক্সাসের একটি পরিবারের দরজার তলা দিয়ে ঘরে লিফলেট ঢুকিয়ে দিয়েছেন কেউ। তাতে লেখাÑ ‘অবিলম্বে আমেরিকা ছাড়তে হবে এই পরিবারকে’। অপরাধ? পরিবারটি দক্ষিণ এশীয়। তাই আর আমেরিকায় থাকা চলবে না। নিজের দেশে ফিরতে হবে। এই লিফলেটের খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। একই রকম দ্রুততায় আতঙ্কও ছড়ায় গোটা অঞ্চলে। টেক্সাস প্রদেশের ওই এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দা হলেন ভারতীয়। তারা মনে করছেন, এই হুমকি শুধু একটি পরিবারকে দেওয়া হয়নি, প্রত্যেক দক্ষিণ এশীয়কেই এলাকা ছাড়তে বলা হচ্ছে।
লিফলেটে লেখা ছিল, ‘এলাকাবাসীগণ, আমাদের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন ঈশ্বরের দেওয়া উপহার। আমরা আমাদের দেশকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে চাই। মুসলিম, ভারতীয়, কৃষ্ণাঙ্গ এবং ইহুদিদের থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে।’
তাতে আরও লেখা ছিল, বিদেশিদের আমেরিকায় আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। কারণ আমেরিকার সব মোটা বেতনের চাকরি বিদেশিরা দখল করে নিচ্ছেন। আমেরিকাকে শ্বেতাঙ্গ অ্যাঙ্গলো-স্যাক্সন সম্প্রদায়ের দেশ বলে উল্লেখ করে সেখানে লেখা হয়েছে, শ্বেতাঙ্গ মার্কিন ছাড়া বাকি সকলকে আমেরিকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। টেক্সাস প্রদেশ থেকেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ভারতীয় বা দক্ষিণ এশীয়দের বাড়ি ভাড়া দেওয়া বা বাড়ি বিক্রি করার বিরুদ্ধেও ‘ফতোয়া’ জারি করা হয়েছে ওই লিফলেটে।
যে পরিবারের বাড়িতে লিফলেটটি ফেলা হয়েছে, তারা আতঙ্কে প্রকাশ্যে আসতে চাননি। তাদের পরিচয়ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে গোপন রাখা হয়েছে। কিন্তু টনি ওয়াধওয়াঁ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, এই লিফলেট অনেককেই আতঙ্কিত করে তুলেছে। তার কথায়, ‘আক্ষরিক অর্থেই শ্বেতাঙ্গ অ্যাঙ্গলো-স্যাক্সন ছাড়া বাকি সবার বিরুদ্ধে ঘৃণা উগরে দিচ্ছে এই লিফলেট।’
স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। তবে জাতিবিদ্বেষের সম্মুখীন হলে পুলিশের দ্বারস্থ হতেও এখন ভয় পাচ্ছেন আমেরিকা নিবাসী দক্ষিণ এশীয়রা।