বার্তা সংস্থা ইকনা: ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে রাহবার আজ এসব কথা বলেছেন। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে ইরানের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। মার্কিন ওই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সর্বোচ্চ নেতা আজ আমেরিকার সমালোচনা করলেন।
সারা বিশ্বে বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের কৌশলগত প্রভাব বেড়ে চলায় তার প্রশংসা করেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি একে গত চার দশকের অন্যতম বড় অর্জন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইরানের এই প্রভাব বেড়ে চলার কারণে দেশের জনগণের অবস্থান শক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় মার্কিন নীতি নির্ধারকরা ইরানের প্রভাব ঠেকানোর পথ খুঁজছেন।
মহামান্য রাহবার বলেন, ইসলামি সরকারের বিষয়ে ইরানের জনগণকে হতাশ করতে মার্কিন সরকার নোংরা কৌশল হিসেবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে। এছাড়া, ইরানের কর্মকর্তারা শত্রুদের প্রতিরোধ করার জন্য জনগণের যে সমর্থন অর্জন করেছেন তা থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনসহ নানা পথ বেছে নিয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, ইরানের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কথা না বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের উচিত তাদের নিজেদের সমস্যার দিকে নজর দেয়া। তিনি সে সময় বলেন, আমেরিকার রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক- দুদলই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রতিবাদ করেছে এবং খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগে সে দেশের নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।