IQNA

ইমাম মাহদীর(আ.)সময়ে কুরআন শিক্ষার ব্যাপারে ইমাম আলীর ভবিষ্যদ্বাণী

21:08 - May 05, 2017
সংবাদ: 2603026
যুগ যুগ ধরে যখন কুরআন বঞ্চিত ও একাকী হয়ে পড়েছে এবং জীবন পাতার এক কোণে ফেলে রেখেছিল এবং সকলেই তাকে ভুলে গিয়েছিল ;আল্লাহর শেষ হুজ্জতের হুকুমতের সময়ে কোরআনের শিক্ষা মানুষের জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রবেশ করবে। সুন্নত যা হচ্ছে মাসুমদের বাণী ,কার্যকলাপ এবং তাকরির ,তা সর্বত্র উত্তম আদর্শ হিসাবে মানুষের জীবনে স্থান পাবে এবং সবার আচরণও কুরআন ও হাদীসের আলোকে পরিমাপ করা হবে।
ইমাম মাহদীর(আ.)সময়ে কুরআন শিক্ষার ব্যাপারে ইমাম আলীর ভবিষ্যদ্বাণী
বার্তা সংস্থা ইকনা: ইমাম আলী (আ.), ইমাম মাহদী (আ.)-এর কুরআনী হুকুমতকে স্পষ্ট ভাষায় এভাবে বর্ণনা করেছেন: যখন মানুষের নফস হুকুমত করবে তখন (ইমাম মাহদী আবির্ভূত হবেন) এবং হেদায়েত ও সাফল্যকে নফসের স্থলাভিষিক্ত করবেন। যেখানে ব্যক্তির মতকে কুরআনের উপর প্রাধান্য দেওয়া হত তা পরিবর্তন হয়ে কুরআনকে সমাজের উপর হাকেম করা হবে।

আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) আরো বলেছেন: قال امیرالمومنین علیه السلام: «کأنی أنظر إلی شیعتنا بمسجد الکوفه قد ضربوا الفساطیط، یعّلمون النّاس القران کما انزل». আমি আমার শিয়াদেরকে দেখতে পাচ্ছি যে, কুফার মসজিদে তাঁবু বানিয়ে কুরআন যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছিল সেভাবে জনগণকে শিক্ষা দিচ্ছে। (গাইবাতে নোমানি, পৃ: ৩১৮)

কুরআন শেখা এবং শিক্ষা দেওয়া কুরআনের সংস্কৃতির প্রসার ও সমাজের সর্বস্তরে কোরআনের কর্তৃত্বের পরিচায়ক।

পবিত্র কুরআন ও আহলে বাইতের শিক্ষাতে মানুষের চারিত্রিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেননা, মানুষের উদ্দেশ্যের পথে অগ্রগতি ও উন্নতির মূলমন্ত্র হচ্ছে তার উত্তম চরিত্র। রাসূল (সা.) নিজেও তার নবুয়তের উদ্দেশ্যকে চারিত্রিক গুণাবলীকে পরিপূর্ণতায় পৌঁছানো বুঝিয়েছেন। পবিত্র কুরআনও রাসূল (সা.)-কে সবার জন্য উত্তম আদর্শ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, মানুষ কুরআন ও আহলে বাইত থেকে দূরে সরে গিয়ে নষ্টামির নোংরা জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। আর এই চারিত্রিক অবক্ষয়ই ব্যক্তি ও সমাজের পতনের মূল। সূত্র: shabestan
captcha