শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম বাকির(আ.) বলেছেন: সূরা কাহফের ৪১ নং আয়াতটি আহলে বাইতের শানে অবতীর্ণ হয়েছে। মহান আল্লাহ ইমাম মাহদীর মাধ্যমে গোটা বিশ্বে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করবেন।
ইমাম মাহদী ও তার সাথীদের মাধ্যমে সকল প্রকার বিদয়াত ও কুসংস্কার দূর করবেন।
ইমাম মাহদী দুনিয়াতে এমনভাবে ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠা করবেন যে পৃথিবীতে জুলুম ও অন্যায়ের কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
আমার যদি কুরআনের আয়াতের প্রতি দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাব যে, মহান আল্লাহ কুরআনে বলেছেন:
هُوَ الَّذِى أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَ دِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلىَ الدِّينِ كُلِّهِ وَ لَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُون
তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রাসুলকে হেদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপরে জয়যুক্ত করেন যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর বলে মনে করে। সূরা তওবা- ৩৩।
উক্ত আয়াত থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট তা হচ্ছে, যখন রাসুল (সা.) বা তাঁর নির্বাচিত খলিফা দুনিয়ার বুকে দ্বীনে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইবে তখন একদল লোক তার দ্বীনের তাবলিগের কাজে বাধা দান করবে, আর তারা হচ্ছে মুশরিক।
ইমাম মাহদী (আ.) পৃথিবীকে ন্যায়বিচারে পূর্ণ করে দিবেন যেমনভাবে মেঘ ও কালো পর্দা সরে যাওয়ার পর বিশ্বের সূর্য তাঁর চেহারা উন্মোচন করে অনুরূপভাবে তিনিও গোটা বিশ্বকে তাঁর জ্যোতিতে আলোকিত করবেন৷ হ্যাঁ, অন্যায় ও ফ্যাসাদের সাথে সংগ্রাম করার পর ন্যায় বিচারের হুকুমতের পালা আসবে৷ তখন ন্যায়বিচার হুকুমতের আসনে উপবিষ্ট হবেন এবং প্রতিটি জিনিসকে তার উপযুক্ত স্থানে স্থান দান করবেন ও প্রত্যেকের অধিকারকে ন্যায়ের ভিত্তিতে বণ্টন করবেন৷