IQNA

হযরত খাদিজার(সা.) প্রতি রাসূলের(সা.) নজিরবিহিন ভালবাসা

23:51 - June 09, 2017
সংবাদ: 2603221
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) উম্মুল মু’মিনিন হযরত খাদিজার ওফাতের পর রাসূল(সা.) সর্বদা তার স্মরণ করতেন এমনকি মদিনায় হিজরত করার পরও তিনি হযরত খাদিজাকে স্মরণ করে ক্রন্দন করতেন।
হযরত খাদিজার(সা.) প্রতি রাসূলের(সা.) নজিরবিহিন ভালবাসা
বার্তা সংস্থা ইকনা: হযরত খাদিজাতুল কুবরা ২৫ বছর রাসূল(সা.)-এর সাথে জীবন-যাপন করেন এবং তার মধ্যে ১০ বছর ছিল রাসূল(সা.)-এর নবুয়্যত লাভের পর।

এই মহিয়সী নারী ৪০ বছর বয়সে রাসূলের (সা.) যাঁর বয়স তখন ২৫ বছর ছিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনিই প্রথম নারী ছিলেন যিনি ইসলামের উদয়ান্তে সর্ব প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ২৫ বছর যাবৎ রাসূলের (সা.) সাথে যুগল জীবন যাপন করেন। এই দিনগুলিতে সর্বদা পরাক্রান্ত ও আত্মত্যাগী সাথী, দয়াশীল বন্ধু হিসেবে রাসূলের (সা.) সাথে ছিলেন।

হযরত খাদিজা (সা.) নবুয়্যত ঘোষণার দশ বছর পর ইন্তেকাল করেছেন, রাসূল (সা.) তার ইন্তেকালের দশ বছর অথবা তার কিছু বেশী দিন যাবৎ জীবিত ছিলেন।

এই সময়গুলিতে তিনি (সা.) সারাক্ষণ হযরত খাদিজাকে (সা.) স্মরণ করতেন, তার আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করতেন। কখনো কখনো এমনও হয়েছে যে, তিনি হযরত খাদিজার (সা.) কথা স্মরণ করে এমনভাবে ক্রন্দন করতেন যে তার দু'চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়তো।

কারণ, রাসূল (সা.) হযরত খাদিজার (সা.) গভীর ভালবাসা ও দয়ার ঝর্ণাধারাকে অবলোকন করেছিলেন। হযরত খাদিজার (সা.) প্রতি রাসূলের (সা.) এই ধরনের আচরনের কথা ঐতিহাসিকভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে। তার একটি উদাহরণ এখানে উল্লেখ করবো:

একদিন রাসূল (সা.) তাঁর কয়েকজন সহধর্মিনীর সাথে ছিলেন হঠাৎ করে হযরত খাদিজার (সা.) প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হল, রাসূল (সা.) এত বেশী স্পর্শকাতর হয়ে উঠলেন যে, তাঁর দু'চোখ থেকে অশ্রু ঝড়তে লাগলো।

হযরত আয়েশা তাঁকে বললেন: "আপনি কাঁদছেন কেন? একজন বয়োঃবৃদ্ধ মহিলার জন্য এভাবে কাঁদতে হবে?" রাসূল (সা.) প্রতিত্তোরে বললেন:

যে সময় তোমরা আমাকে মিথ্যাবাদী বলতে সে সময় সে আমাকে সত্যবাদী হিসেবে মেনে নিয়েছিল ও যে সময় তোমরা কাফির ছিলে সে সময় সে আমার প্রতি ঈমান এনেছিল, সে আমাকে সন্তান দান করেছে আর তোমরা তো বন্ধ্যা।

captcha