
বার্তা সংস্থা ইকনা: আজ (রোববার) গণমাধ্যমে প্রকাশ, গতকাল (শনিবার) দিবাগত রাত ২টা নাগাদ সিরমৌর জেলার পাওয়ন্টা সাহিবের পিপলিওয়ালা এলাকায় অবস্থিত নূরানি মসজিদে ওই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার, ডেপুটি পুলিশ সুপারসহ বোমা নিরোধক বাহিনী এবং ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
কোনো অসামাজিক লোকজন মসজিদের জানালার পাশে কেউ বোমা রেখেছিল এবং পরে তা বিস্ফোরণ হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গভীর রাতের ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বিস্ফোরণস্থল নিরূপণ করতে পারেননি। মসজিদের ইমাম সাহেব সকালে ফজর নামাজ পড়তে গিয়েই ভিতরের অবস্থা দেখে অবাক হয়ে যান। এ সময় মসজিদের জানালা ভাঙা এবং সেখানকার আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
স্থানীয় সাবেক প্রধান জুলফিকার বলেন, রাত ২টা নাগাদ মদজিদের মধ্যে বিস্ফোরণ হয়।
মসজিদের পিছনের দিকের জানালা দিয়ে প্রথমে বিস্ফোরক রেখে পরে তাতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে বলা হচ্ছে। এতে মসজিদের জানালার অংশ বিশেষ উড়ে যায় এবং ভেতরে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রসঙ্গত, ওই মসজিদটিতে এর আগেও নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা হয়েছিল।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, ইতিপূর্বে মসজিদের পানির ট্যাঙ্কিতে বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অপচেষ্টা হয়েছে।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের ডিএসপি প্রমোদ চৌহান বলেন, ঘটনাস্থলে তদন্ত চলছে।
পুলিশ সুপার রোহিত মালপানি বলেন, ‘পঞ্চায়েত এলাকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ আছে। শনিবার রাতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এভাবে আতঙ্ক ছাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অনুসন্ধান কুকুর ছাড়াও মোবাইল ফোনের অবস্থানের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশের ওই কর্মকর্তা স্থানীয় মানুষজনকে পারস্পারিক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখার আবেদন জানিয়েছেন। পার্সটুডে