বার্তা সংস্থা ইকনা: দোজাহানের নেত্রী হযরত ফাতিমা যাহরা এত বেশী মহত গুণের অধিকারী ছিলেন যে, তা আমাদের পক্ষে এমনকি উপলব্ধি করাও সম্ভব নয়।
আর একারণেই ইমাম রেজা(আ.) এবং ইমাম মাহদীর (আ.) বলেছেন: «فی اِبنَةِ رَسولِ الله لِی اُسوَةٌ حَسَنَةٌ؛ মহানবীর কন্যা হযরত ফাতিমা যাহরার মধ্যে আমার জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে।
আহলে বাইত নিজেরাই মাসূম এবং সত্যপন্থি ইমাম হওয়ার পরও মা ফাতিমাকে নিজেদের জন্য আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করেছেন। সুতরাং এটা থেকে বোঝা যায় যে আমরা যদি হকিকতের পৌছাতে চাই তাহলে মা ফাতিমার প্রতি তাওয়াসসুল করা ছাড়া কোন পথ থাকে না।
সঠিক পথ পেতে গেলে জীবনে মা ফাতিমার আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হবে। আর আমরা যদি তার থেকে গাফেল হয়ে যাই তাহলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব না। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: আল্লাহ এবং রাসূল(সা.) মা ফাতিমার সন্তুষ্টিতে সন্তুষ্ট হন আর তার অসন্তুষ্টিতে অসন্তুষ্ট হন।
আর মা ফাতিমার সন্তুষ্টির বিষয়টি ব্যক্তিগত নয় বরং তাহ হচ্ছে সমষ্টিত এবং ইসলামের নিয়মের অনুরূপ। কেননা তিনি হলেন, উম্মুল আইম্মাহ এবং মহানবীর কন্যা।
হাদিসে কিসার বর্ণনা অনুযায়ী মহানবী তার সমস্যা এবং উদ্বেগকে মা ফাতিমার সাথে শেয়ার করেন। আর এটা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা যে বেলায়াত ও ইমামতকে বুঝতে হলে অবশ্যই মা ফাতিমার মাধ্যমে বুঝতে হবে।
মা ফাতিমার গুরুত্ব এতই বেশী যে মহানবী(সা.) বার বার বলেছেন: ফাতিমা আমার অস্তিত্বের অংশবিশেষ।