IQNA

ইমাম মাহদীর সৈনিকদের জন্য হযরত আব্বাসের শিক্ষা

23:46 - April 28, 2018
সংবাদ: 2605623
আমরা ইমাম মাহদীর সৈনিকরা যদি হযরত আব্বাসের মত নৈতিক ও মারেফাতের গুণাবলির অধিকারী হতে পারি তাহলে ইমাম মাহদীর বিশ্বজনীন রাষ্টগঠনে আমরা দারুণ ভূমিকা পালন করতে পারব।


বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হযরত আব্বাসের গুণাবলী সম্পর্কে তার যিয়ারতে এবং ইমামগণের ভাষায় অনেক বিষয় বর্ণিত হয়েছে। আমরা যদি তার সেই গুণাবলীকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে পারি তাহলে আমরাও হতে পারব একজন প্রকৃত মু’মিনি মুসলমান।

কারবালার ময়দানের পরীক্ষায় হযরত আব্বাস সব থেকে বেশী নম্বর নিয়ে পাশ করেছিলে। কেননা তিনি তার সকল কিছূ দিয়ে তার যুগের ইমামকে সাহায্য করেছিলেন। হযরত আব্বাসকে বলা হয় ওফাদার বা বিশ্বস্ত। তিনি এমনভাবে কারবালায় তার আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েছেন যা ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে আছে।

হযরত আব্বাসের যিয়ারতে আমরা যখন তাকে সালাম দেই সেই সালামে বলা হয়: হে হযরত আব্বাস! আপনার উপর আল্লাহর, তার প্রেরিত নবীগণের, তার ফেরেশতাগণের এবং তার যোগ্য বান্দাদের সালাম বর্ষিত হোক। এই সলাম থেকেও আমরা তার বিশেষ মর্যাদা ও চরিত্রকে বুঝতে পারি।

হযরত আব্বাসের আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা এই পর্যায়ের ছিল যে তিনি কোন অবস্থাতেই ইমাম হুসাইনকে একা ছেড়ে যান নি। আশুরার রাতে শত্রুরা যখন তার জন্য নিরাপত্তা পত্র নিয়ে আসল তখন তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন: তোমাদের ও তোমাদের নিরাপত্তা পত্রের উপর আল্লাহর লানত হোক। কেননা, তোমরা আমাকে নিরাপত্তা দিচ্ছ কিন্তু নবীর নাতিকে হত্যা করতে উঠে পড়ে লেগেছ।

আমরা সবাই যদি হযরত আব্বাসের মত বিশ্বস্ত ও ন্যায়পরায়ণ বান্দা হতে পারতাম তাহলে ইমাম মাহদীও দ্রুত আমাদের মাঝে চলে আসতেন। কেননা আল্লাহ সূরা আম্বিয়ার ১০৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন- وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ

নিঃসন্দেহে আমরা স্মারকবাণী তথা তাওরাতের পর যাবুরেও লিপিবদ্ধ করে দিয়েছিলাম যে, পৃথিবীর শাসন-ক্ষমতার অধিকারী হবে আমার সৎ বান্দারা।

যারা আল্লাহর ইবাদত করে এবং সতকর্মপরায়ণ, তারা জানুক যে, সৎকর্মের প্রতিদান শুধু পরকালের জন্যই নির্দিষ্ট নয়; বরং দুনিয়াতেও আল্লাহ এরূপ বান্দাদের রাজত্ব ও শাসন ক্ষমতা প্রদান করবেন যেমনটি তিনি সূরা নূরের ৫৫ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করেছেন। তবে সমগ্র বিশ্বের ওপর পরিপূর্ণ ন্যায়বিচারভিত্তিক এবং জুলুম মুক্ত রাজত্ব ও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সর্বশেষ স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি দ্বাদশ ইমাম তথা ইমাম মাহদী (আ.)-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।

 

captcha