বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: এই মাসে আমাদের জন্য দুটি বিশেষ আমল হল পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা এবং ইমামগণ থেকে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা। যার ফলে আমাদের আত্মা পরিশুদ্ধ হবে এবং আমরা আল্লাহর নৈকট্যলাভ করতে পারব।
এই মাসে যে সকল দোয়া পাঠ করতে বলা হয়েছে তা হচ্ছে দোয়া ইফতেতাহ, দোয়া সাহার, দোয়া আল্লাহুম্মাদ আদখিল আলা আহলিল কুবুরিস সুরুর। দোয়া ইয়া আলীও ইয়া আজিম ইত্যাদি।
এছাড়াও ইমাম মাহদীর সালামাতির জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে, আর তা হচ্ছে:
"أَللّهُمَّ كُنْ لِوَلِيِّكَ الْحُجَّةِ بْنِ الْحَسَنْ صَلَواتُكَ عَلَيْهِ وَعَلى آبائِهِ فِي هذِهِ السَّاعَةِ وَفي كُلِّ ساعَة وَلِيّاً وَحافِظاً وَقائِداً وَناصِراً وَدَلِيلاً وَعَيْناً حَتَّى تُسْكِنَهُ أَرْضَكَ طَوْعاً وَتُمَتِّعَهُ فِيها طَوِيلاً َ"
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার হুজ্জাতের জন্য তুমি এমন হও যে, তুমি তাঁর বন্ধু, রক্ষক, কায়েদ (প্রতিষ্ঠাতা), সাহায্যকারী, দিকনির্দেশক, ঝর্ণাধারার মত। যার নাম হুজ্জাত ইবনিল হাসান, তোমার দরূদ বর্ষিত হোক তাঁর উপর এবং তাঁর পূর্ব পুরুষদের উপর, এই সময় এবং সর্ব সময়; যতক্ষণ না তুমি তাঁকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করে মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে, সেখানে সবাইকে দীর্ঘ জীবন দান কর।
এই দোয়া পাঠের মাধ্যমে প্রতীক্ষাকারীদের সাথে ইমাম মাহদীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় এবং ইমাম মাহদীর আবির্ভাবও ত্বরান্বিত হতে সাহায্য করে।
অনুরুপভাবে এই মাসে যারাই কোরআন খতম করবে তাদের উচিত হবে ইমাম মাহদীর নামে কোরআন খতম দেয়া আর কুরআন পড়তে পড়তে যখন ইমাম মাহদী সংক্রান্ত আয়াতে পৌঁছাবে তখন তার প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করতে এভাবে ইমামের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।