বার্তা সংস্থা ইকনা: বিজেপির মুখপাত্র মণীশ শুক্লার বলেন, ‘ওই ভাস্কর্য স্থাপনে সমাজে একটা ভালো বার্তা পৌঁছবে। কারণ লক্ষণই লক্ষ্ণৌর পরিচয় বহন করছে।’
মসজিদটির ইমাম মাওলানা ফজলে মান্নান বলেন, ‘ঈদ ও অন্যান্য উৎসবের সময় লাখো মুসলিম এই মসজিদের বাইরে এমনকি সড়কেও নামাজ আদায় করেন। কিন্তু মসজিদের বাইরে ভাস্কর্য স্থাপন হলে মানুষজন সেখানে নামাজ পড়তে পারবে না। এটি ‘সংরক্ষিত এলাকা’ হওয়ায় ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের অনুমতি ছাড়া কোনও ভাস্কর্য নির্মাণ করা যাবে না।
মাওলানা ফজলে মান্নান আরও বলেন, এ ধরনের প্রস্তাব ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে নেয়া হলেও বিরোধীদের চাপে সেসময় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে উচ্চ-কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে আবেদন করা হবে। ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা না হলে তা শান্তির জন্য হুমকি হতে পারে।
লক্ষ্ণৌ পৌর করপোরেশনের মেয়র সংযুক্তা ভাটিয়া বলেন, শহরে ভগবান লক্ষণের ভাস্কর্য স্থাপিত হোক এনিয়ে আমাদের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে একটি প্রস্তাবনা এসেছে। কিন্তু এখনও ভাস্কর্য স্থাপনের স্থান নির্ধারিত হয়নি। আমাদের এখানে গঙ্গা-যমুনা সংস্কৃতি রয়েছে। এ নিয়ে যাতে বিতর্ক না হয় সেজন্য চেষ্টা করা হবে।
বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা রামকৃষ্ণ যাদবের দাবি, নামাজ পড়া হয় মসজিদের মধ্যে। কিন্তু ভাস্কর্য চৌরাস্তায় স্থাপন করলে এ নিয়ে বিতর্ক ভিত্তিহীন। ‘লক্ষ্ণৌকে তারা ‘লক্ষণপুরি’ করতে চান বলেও জানিয়েছেন।
বিজেপি নেতা লালজি ট্যান্ডনের ‘লক্ষ্ণৌর অজানা কথা’ বইতে দাবি করা হয়েছে, শতাব্দী প্রাচীন টিলেওয়ালি মসজিদ আসলে ‘লক্ষণ কা টিলা’। এরপর থেকেই এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আলেমদের মতে, ইসলাম ধর্মে ভাস্কর্যর সামনে নামাজপড়া নিষিদ্ধ। সেজন্য টিলেওয়ালি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় লক্ষণের গ্র্যান্ড ভাস্কর্য স্থাপিত হলে সেখানে নামাজ পড়ায় সমস্যা সৃষ্টি হবে।