বার্তা সংস্থা ইকনা: এরকম একজন ব্রাইটস ইসলাম। গত ৬ বছর ধরে তিনি সপরিবারে সিতওয়েতে অবস্থিত নিজ বাড়িছাড়া। সেসময় সেনাবাহিনীর চালানো হামলায় প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হন এবং প্রায় ১ লাখ মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
এদের বেশিরভাগই বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। যারা পালাতে পারেননি তারা ছোটছোট শিবিরে বাস করছেন। এই ব্যাপারে ব্রাইটস ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে আমাদের নিজেদের বাড়িঘর ছিলো। আর এখন খুব খারাপ অবস্থায় আমাদের এসব শিবিরে বসবাস করতে হচ্ছে। খবর ইউএসনিউজ
২০১২ সালের এই হামলার পর ২০১৭ সালে আরো বড় পরিসরে রোহিঙ্গাদের উপর হামলা চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এই হামলার পর সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন।
তখন যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসেনি তারাও এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভালোভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ দেবার চেষ্টা করা হলেও মিয়ানমারে সে সুযোগ নেই। তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এখন তারা সরকারি শিবিরে এক ঘরে অনেকগুলো পরিবার গাদাগাদি করে বসবাস করছেন। মিয়ানমারে জাতিসংঘ কার্যালয়ের মুখপাত্র পিয়েরে পেরন বলেন, ‘এই সম্প্রদায়ের শিশুরা সরকারি স্কুলে যেতে পারেনা।
কৃষকদের নিজের জমিতেই প্রবেশ করতে দেয়া হয়না, জেলেরা আগের মতো করে মাছ ধরতে পারেনা, ব্যবসায়ীদের বাজারে যেতে দেয়া হয়না, এমনকি অসুস্থ ব্যক্তিরা হাসপাতালে যেতে পারেনা।