বার্তা সংস্থা ইকনা: দেশে ফেরত নিতে ব্যর্থ হয়েই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে। গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন সৌদি সরকার বিরোধী সাংবাদিক খাশোগি। কনস্যুলেটের ভেতরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে তুর্কি সরকার।
ওয়াশিংটন পোস্ট জামাল খাশোগির কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছে তাকে সৌদি আরবে ফিরিয়ে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে সৌদি সরকার। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হন নি।
সৌদি রাজকীয় আদালতের উপদেষ্টা সৌদ আল কাহতানি নিজে অন্তত দুই বার ফোন করে খাশোগিকে দেশে ফেরার অনুরোধ করেছিলেন। তাকে নিরাপত্তার পাশাপাশি বড় পদ দেওয়ার লোভ দেখানো হয়েছিল।
জামাল খাশোগির বন্ধু খালেদ সাফুরি জানিয়েছেন, গত মে মাসে খাশোগির সঙ্গে তার এ বিষয়ে কথা হয়। তখন খাশোগি সৌদি সরকার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ওদেরকে আমি বিন্দু পরিমাণ বিশ্বাস করি না।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি এক সময় সৌদি রাজতান্ত্রিক সরকারের সমর্থনে কাজ করলেও পরবর্তীতে তিনি অবস্থান পরিবর্তন করেন এবং দেশটির সরকারের নানা পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করতেন। সৌদি সরকার প্রতিশোধ নিতে পারেন এ আশঙ্কায় তিনি আমেরিকায় বসবাস করতেন। কিন্তু বিয়ের কাগজপত্র ঠিক করতে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে যান। পার্সটুডে