IQNA

মিশরে আন্দোলন দমাতে নিরাপত্তা জোরদার

21:26 - September 28, 2019
সংবাদ: 2609319
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা মিশরের তরুণদের দমাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাহরির স্কয়ার বন্ধ করে দিলেন দেশটির স্বৈরশাসক আব্দেল আল ফাত্তাহ সিসি। গতকাল শুক্রবার তাহরির স্কয়ারে প্রবেশের সব বন্ধ করে দেয়া হয়।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় এই চত্ত্বরেই হাজার হাজার মানুষ সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে ক্ষমতাচ্যুতের জন্য বিক্ষোভ করে।

গত সপ্তাহে কঠোর আন্দোলনের পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। একদিনেই গ্রেফতার করা হয় কয়েক শ’ জনকে। আর সপ্তাহজুড়ে গ্রেফতারকৃতের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে সরকারি প্রসিকিউটররা দাবি করেছেন, গ্রেফতারকৃতদের সংখ্যা সহস্রাধিক।

শুক্রবার দাঙ্গা পুলিশ তাহরির স্কয়ারের প্রবেশ পথগুলোতে ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। সাবওয়েগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। গ্রেফতার করা হয় অনেককে। বন্ধ করে দেয়া হয় ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বিক্ষোভ দমনে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

দেশটির ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০১৩ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সব ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেন সামরিক শাসক সিসি। দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০ সেপ্টেম্বর রাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মিসরীয়রা। সিসির পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামেন তরুণরা। সিসিকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। তরুণরা ছাড়াও এই বিক্ষোভে অংশ নেন মানবাধিকারকর্মী, মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী, সাংবাদিক, আইনজীবীরা।

এদিকে গতকাল তাহরির স্কয়ার বন্ধ করে দেয়ায় বিক্ষোভ দমন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন কায়রো ইনস্টিটিউটের হিউম্যান রাইটস স্টাডিজের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মোহাম্মদ জারি। তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়ন আর গ্রেফতারে হয়তো জনগণ আতঙ্কে থাকবেন কিন্তু গত শুক্রবারে শুরু হওয়া আন্দোলন এতো তাড়াতাড়ি বন্ধ করা যাবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘গত শুক্রবার বিক্ষুদ্ধ তরুণদের যে ঢল নামে তাতে নিশ্চিত যে সিসি আর আগের মতো নিশ্চিন্তে তার গদিতে বসে রাজত্ব করতে পারবেন না।’  iqna

captcha