বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আজ ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের বিচারের রায় ঘোষণা হয়েছে। যেহেতু তার বয়স ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে, সেজন্য সুদানের আইন অনুযায়ী তাকে কারাগারে স্থানান্তর না করে তাকে একটি সামাজিক সংস্কার কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং সেখানে তাকে দুই বছর বন্দি করে রাখা হবে এবং তার সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। তার আগ পর্যন্ত তিনি তিন দশক ধরে সুদানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলো।
১৯৮৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সুদানের ক্ষমতায় আসেন বশির। তার বিরুদ্ধে নানা রকমের দুঃশাসন এবং দেশের সম্পদ অপব্যবহার করার অভিযোগও ছিল। সুদানে সাম্প্রতিককালে যে বিক্ষোভ হয়েছে তাতে হত্যাকাণ্ড চালানো এবং হত্যার উস্কানি দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ নিয়ে বশিরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ওমর আল-বশিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় এবং কীভাবে তিনি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তবে তার আইনজীবী মোহাম্মদ আল-হাসান এ সমস্ত অভিযোগকে রাজনৈতিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, এসব অভিযোগের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। তিনি দাবি করেন, সামরিক অভ্যুত্থানের পর ৩০ বছর পার হয়ে গেছে এবং এর মধ্যে নানা ঘটনা ঘটেছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মামলায় বশির যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তিনি সুদানের আইন অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন। iqna