বার্তা সংস্থা ইকনা: বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ ইমামি কাশানি আলোচক দলের প্রশংসা করে আরও বলেন, সর্বোচ্চ নেতার দিক-নির্দেশনা এবং জনগণের পৃষ্ঠপোষকতা তাদের এই সাফল্যের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।
জনাব কাশানি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধের চাপ কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক অর্থনীতি ছিল একটা কার্যকর পদক্ষেপ। পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভিয়েনা চুক্তি ইরানসহ বিভিন্ন দেশে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে এবং সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে বলে পশ্চিমা কোনো কোনো দেশ যে দাবি করছে তাকে ডাহা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে জনাব কাশানি বলেন,ইরানি জাতির বিরুদ্ধে তারা পূর্বেকার শত্রুতামূলক নীতি পরিহার না করে এখনও চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরাইলকে ইরানের পরমাণু সমঝোতা মেনে নিতে রাজি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার সমালোচনা করে আয়াতুল্লাহ ইমামি কাশানি বলেন, ইসরাইল সেদিন রাজি হবে যেদিন পৃথিবীর বুক থেকে তারা ছাড়া আর সকল দেশ ও জাতি নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাবে। এজন্যই তারা মানুষের রক্ত ঝরাতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
ইসরাইলকে সমর্থনকারী কোনো কোনো আরব দেশের সমালোচনা করে আয়াতুল্লাহ কাশানি বলেন,ইসরাইল হচ্ছে বিশ্বের বুকে সবচে ঘৃণিত ও কুৎসতি সরকার। মুসলমানদের উচিত নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এই ইহুদিবাদি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাদেরকে বের করে দেওয়া।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আইএসআইএল এবং ইসরাইলকে বিশ্বের বলদর্পি শক্তিগুলোর হাতে গড়া বলে জনাব কাশানি মন্তব্য করেন। আইআরআইবি.আইআর
3339678