শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: আয়াতুল্লাহ তাবাসি বলেন, বহু হাদিস রয়েছে যার থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইমাম মাহদীর(আ.) পর ইমাম আলী(আ.)থেকে শুরু করে সব ইমামেরই আবার রাজআত হবে।
রাজআত সম্পর্কিত কোরআনের দুটি আয়াতের তাফসির:
وَ یَوْمَ نحَشُرُ مِن کُلّ أُمَّةٍ فَوْجًا
যেদিন আমি একত্রিত করব একেকটি দলকে সেসব সম্প্রদায় থেকে। (সূরা নামল- ৮৩)
হাদিস বর্ণনাকারী বলেন যে ইমাম জাফর সাদিক (আ.) আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, জনগণ উক্ত আয়াত সম্পর্কে কিরূপ চিন্তা করে? আমি বললাম তারা মনে করে যে উক্ত আয়াতটি কিয়ামত সম্পর্কে অবর্তীর্ণ হয়েছে। ইমাম বলেন: এমনটি নয় বরং উক্ত আয়াতটি হচ্ছে রাজআত সম্পর্কিত কেননা আল্লাহ কি কিয়ামতের দিন কিছু মানুষকে পুণঃউত্থান করবেন এবং অন্যান্যদেরকে ছেড়ে দিবেন তাতো হতে পারে না। বরং কিয়ামত সংক্রান্ত আয়াত হচ্ছে:
وَ حَشَرْنَاهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنهْمْ أَحَدًا
এবং আমি মানুষকে একত্রিত করব অতঃপর তাদের কাউকে ছাড়ব না। (সূরা কাহফ- ৪৭)
وَ أَقْسَمُواْ بِاللَّهِ جَهْدَ أَیْمَانِهِمْ لَا یَبْعَثُ اللَّهُ مَن یَمُوتُ بَلىَ وَعْدًا عَلَیْهِ حَقًّا وَ لَاکِنَّ أَکْثرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُون
তারা আল্লাহর নামে কঠোর শপথ করে যে, যার মৃত্যু হয় আল্লাহ তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন না। অবশ্যই এর পাকাপোক্ত ওয়াদা হয়ে গেছে। কিন্তু, অধিকাংশ লোক জানে না। (সূরা নাহল- ৩৮)
ইমাম জাফল সাদিক (আ.) উক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেন যে, যখন ইমাম মাহদী (আ.) বিপ্লব করবেন তখন কিছু লোক যারা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রাজআত করবেন তাদের কাছে একটি করে তরবারি থাকবে এবং তারা আমাদের জিবীত শিয়াদেরকে দান করবে এবং তাদেরকে বলবে যে আল্লাহ অমুক অমুককে রাজআত করেছেন এবং তারা সকলেই ইমাম মাহদি (আ.)’এর সাথে রয়েছেন। উক্ত খবরটি আমাদের শত্রুদের কাছেও পৌছাবে তারা আামদের অনুসারিদেরকে বলবে যে তোমরা মিথ্যা বলনি। (তাফসিরে নূরুস সাকালাইন, ৩য় খণ্ড)
ইমাম জাফল সাদিক (আ.) বলেছেন: যারা রাজআত সম্পর্কে ঈমান রাখে না তারা আমদের অনুসারি নয়। (বিহারুল আনওয়ার, ৫৩তম খন্ড, পৃষ্ঠা ৯২)
মামুনুর রশিদ ইমাম রেজাকে (আ.) বলেন, রাজআত সম্পর্কে আপনার মতামত কি? ইমাম রেজা(আ.) বলেন: রাজআত সংঘটিত হবে কেননা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে যে, পূর্বের বিভিন্ন উম্মতের মাঝেও রাজআত সংঘটিত হয়েছিল এবং রাসুল (সা.)-এর উম্মতের মধ্যেও রাজআত সংঘটিত হবে। কেননা পূর্বে যে সকল ঘটনা সমূহ বিভিন্ন উম্মতের মাঝে ঘটেছিল আমার উম্মতের মধ্যেও ঘটবে। (উয়ুনে আখবারে ইমাম রেযা, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৫)
গবেষক জাযায়েরি তার গ্রন্থ শারহে তাহযিব গ্রন্থে লিখেছেন যে, রাসুল (সা.) এবং ইমামগণের (আ.) থেকে প্রায় ৬ শতাধিকেরও বেশি হাদিস এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। শেখ হুররে আমুলি তার ওসায়েলুশ শিয়া গ্রন্থসহ অন্যান্য গ্রন্থে ৬০০ টি হাদিস উল্লেখ করেছেন।