বার্তা সংস্থা ইকনা: আমেরিকার মুসলিম কিশোর আহমেদ মুহাম্মাদ সেদেশের মিডিয়ায় বলেন: “আমি আমার ঘরে একটি ডিজিটাল ঘড়ি নির্মাণ করি এবং এ ঘড়িটিকে আমার স্কুল শিক্ষককে দেখানোর জন্য আরভিং’য়ের ম্যাকআর্থার নামক হাই স্কুলে নিয়ে যায়”।
তিনি বলেন: ঘড়িটি দেখার পর আমার শিক্ষক আমাকে অভিনন্দন জানায় এবং এ ঘড়িটি অন্য কাউকে না দেখানোর জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হটাত করে ঘড়ির ঘণ্টা বেজে উঠে। আমার শিক্ষক ধারণ করে নেই যে এটি একটি বোমা।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহমেদকে ক্লাসরুম থেকে বের করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। পুলিশ তার হাতে হাতকড়া পরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘড়িটি একটি সার্কিট বোর্ডের উপর কিছু তার সংযোগ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, যা একটি ডিজিটাল প্রদর্শনে সংযুক্ত করা ছিল।
আহমেদের পিতা মুহাম্মাদ আল হাসান মুহাম্মাদ বংশোদ্ভূত সুদানের অধিবাসী। তিনি জানান: আমরা মুসলমান হওয়ার ফলে এবং ১১ই সেপ্টেম্বরের নৃশংস ঘটনার পর আমার ছেলে প্রায়শই নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আসছে।
এ ঘটনার ফলে সাইবারস্পেসকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ম্যাকআর্থার স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানায়: “ আমরা সর্বদা শিক্ষার্থী অথবা স্কুলের কর্তৃপক্ষদের নিকট আহ্বান জানিয়েছে, যদি যদি কোন প্রকার সন্দেহ মূলক কাজ দেখা যায় তাহলে অবিলম্বে আমাদের যেন জানায়”।
এমতাবস্থায়, আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস কাউন্সিল জানিয়েছে, এ ব্যাপারে গবেষণা করা হবে।
3364441