বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র, বেহেশতী নারীদের নেত্রী হযরত ফাতিমার (সা.)কলিজার টুকরা এবং জ্ঞানের দরজা আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)’র সুযোগ্য দ্বিতীয় পুত্র এবং ইসলামের চরম দূর্দিনের ত্রাণকর্তা ও শহীদদের নেতা হযরত ইমাম হোসাইন (আ.)।হিজরি চতুর্থ সনের তৃতীয় শা’বান এই ভূপৃষ্ঠে আগমণ করেন।
ইমাম হোসাইন (আ.)'র জন্মলগ্নে তার মা অর্থাৎ হযরত ফাতেমার (সা.) এর পাশে ছিলেন নবী (সা.)এর ফুপু সাফিয়া বিনতে আবদুল মোত্তালিব। রাসূল সে সময় তার ফুপুর কাছে এসে বলেন, হে ফুপু, আমার ছেলেকে আমার কাছে কাছে আনুন। তখন সাফিয়া বললেন, আমি তাকে এখনও পবিত্র করিনি। বিশ্বনবী (সা.) বললেন, "তাকে তুমি পবিত্র করবে? বরং আল্লাহই তাকে পরিষ্কার ও পবিত্র করেছেন।" ইমাম হোসাইন (আ.)’র জন্মের পর তার ডান কানে আজান ও বাম কানে ইক্বামত পাঠ করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বনবী (সা.)। মহান আল্লাহর নির্দেশে তিনি এই শিশুর নাম রাখেন হোসাইন। এ শব্দের অর্থ সুন্দর, সৎ, ভালো ইত্যাদি।
হযরত সালমান ফারসি (রা.) বলেছেন, একদিন দেখলাম যে, রাসূল (সা.) হোসাইন (আ.)-কে নিজের জানুর ওপর বসালেন ও তাকে চুমু দিলেন এবং বললেন, "তুমি এক মহান ব্যক্তি ও মহান ব্যক্তির সন্তান এবং মহান ব্যক্তিদের পিতা। তুমি নিজে ইমাম ও ইমামের পুত্র এবং ইমামদের পিতা। তুমি আল্লাহর দলিল বা হুজ্জাত ও আল্লাহর হুজ্জাতের পুত্র এবং আল্লাহর নয় হুজ্জাতের (বা নয় ইমামের) পিতা, আর তাঁদের সর্বশেষজন হলেন হযরত ইমাম মাহদী (আ.)"। 4077002