ফক্স নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মমদানি বলেন— “ট্রাম্প আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, কিন্তু নিউইয়র্কবাসীর স্বার্থে তার প্রশাসনের বিপরীতে আমার অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত হবে। তাদের ক্ষতি করে এমন যেকোনো নীতির বিরুদ্ধে আমি বিন্দুমাত্র দ্বিধা করব না।”
যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়— ট্রাম্প ফোন করলে তিনি কথা বলবেন কি না, মমদানি বলেন— “আমি তাকে ঠিক সেই কথাই বলব যা এখন বলছি। এটাই আমাকে অ্যান্ড্রু কুমো থেকে আলাদা করে। রাস্তায় যা বলি, সংবাদ সম্মেলনেও তাই বলি। বার্তা একই, কর্মসূচি একই, আর আমার লড়াই মানুষের জন্য।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষে মমদানি আবারও ট্রাম্প বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন— “আমার প্রশাসন হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন। আমার কথা বা অ্যান্ড্রু কুমোর কথা বিশ্বাস করার দরকার নেই; শুধু আমার ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে জয়ের পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের আচরণ দেখুন।”
নিউইয়র্ক টাইমস এই সপ্তাহে জানিয়েছে, ট্রাম্প সম্প্রতি অ্যান্ড্রু কুমোকে ফোন করেছেন এবং নিজের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে বসে মমদানিকে পরাজিত করতে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী কে হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করছেন।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট ফক্স নিউজকে বলেন— “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার বলেছেন, তিনি নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন বা হস্তক্ষেপের কোনো ইচ্ছা রাখেন না।”
উগান্ডায় জন্মগ্রহণকারী জাহরান মমদানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় উপস্থিতি রাখেন। তার প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে রসিকতা ও শান্ত ভঙ্গি থাকলেও বার্তাগুলোতে “প্রগতিশীল” অবস্থান স্পষ্ট। ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে তিনি নিউইয়র্কের মধ্যবিত্তদের জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি একাধিকবার গাজা যুদ্ধ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং প্রকাশ্যে ইসরায়েলি দখলদার সরকারের সমালোচনা করেছেন। মমদানি পূর্বে ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন— মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে যদি নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে আসেন, তবে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য উদ্যোগ নেবেন। 4299276#