IQNA

আরবাঈন অনুষ্ঠানে ২ কোটি ১০ লক্ষাধিক জিয়ারতকারীর অংশগ্রহণ

0:50 - August 16, 2025
সংবাদ: 3477891
ইকনা- হযরত আব্বাস আঃ এর পবিত্র মাজারের কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, ১৪৪৭ হিজরি  সালের ইমাম হুসেইনের (আ:) পবিত্র মাজার জিয়ারতকারীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১,১০৩,৫২৪ জন।

ইকনা সূত্রে, আল-কাফিল গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইটের বরাতে জানা গেছে, হযরত আব্বাস (আ.)-এর আস্তান-এ-মুকাদ্দাসের তৌলিয়ত (পরিচালন কর্তৃপক্ষ) আজ বিকেলে ইমাম হুসেইনের আরবাইন ১৪৪৭ হিজরি-র মোট জিয়ারতকারীর সংখ্যার ঘোষণা দিয়েছে।

 

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের আরবাঈন অনুষ্ঠানে ইরাকে ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামের জিয়ারতকারী উপস্থিত ছিলেন ২১,১০৩,৫২৪ জন।

 

গত বছরের পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সংখ্যা ঘোষণা করা হয়েছিল ২১,৪৮০,৫২৫ জন।

হযরত আব্বাস আঃ এর পবিত্র মাজারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কারবালা মুআল্লায় প্রবেশকারী জিয়ারতকারীদের সংখ্যা নিরূপণ করার জন্য, তাদের অতিক্রম করা পথসমূহ এবং হযরত আব্বাস (আ.)-এর পবিত্র হারামের দরজা দিয়ে প্রবেশের সময়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক একটি নিখুঁত ইলেকট্রনিক গণনা ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে।

 

আরব ও বিদেশি দেশ থেকে ৪০ লক্ষাধিক জিয়ারতকারীদের স্বাগত জানিয়েছে ইরাক

এ প্রেক্ষিতে, ইরাকের উচ্চ নিরাপত্তা কমিটি ফর মিলিয়নিয়াহ জিয়ারত ঘোষণা করেছে: এ দেশের আরবাঈন জিয়ারতে, লক্ষ লক্ষ ইরাকির পাশাপাশি, ৪০ লক্ষাধিক আরব ও বিদেশি দেশের জিয়ারতকারীকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

উচ্চ নিরাপত্তা কমিটি আরও জানিয়েছে: এবারের আরবাঈন জিয়ারতের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে ছিল ট্রাফিক পরিকল্পনার নমনীয়তা এবং আন্তর্জাতিক সড়কগুলোতে রাডার স্থাপন। 

এছাড়া, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে কারবালা মুআল্লা শহরকে অস্ত্রবিহীন শহরে রূপান্তর করা হয়েছে, যা স্থিতিশীলতা জোরদারে সহায়তা করেছে।

 

অগ্নিকাণ্ড, সমন্বয় ও নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম

 

এই কমিটি জানিয়েছে: এবারের আরবাঈন জিয়ারতে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ৮৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং শুধুমাত্র ৫টি ঘটনা রেকর্ড হয়েছে, যেখানে গত বছরে সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।

 

এছাড়া, সব নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্য নিয়মিত বিশ্রামের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল, যাতে ক্লান্তি প্রতিরোধ করা যায়।

কার্যঘণ্টা ও গণমাধ্যম পরিকল্পনা

 

উচ্চ নিরাপত্তা কমিটি ফর মিলিয়নিয়াহ জিয়ারত আরও জানিয়েছে: নিরাপত্তা ও সেবা কমিটির সদস্যরা গড়ে প্রতিদিন ২০ ঘণ্টা, টানা ২১ দিন, অর্থাৎ মোট ৪২০ ঘণ্টা কাজ করেছেন।

 

এই কমিটি জানিয়েছে: গণমাধ্যম পরিকল্পনা সফলভাবে গুজবের মোকাবিলা করেছে এবং জনমতের ইতিবাচকতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

 

অন্যদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীও জিয়ারতকারীদের জন্য লজিস্টিক ও প্রশাসনিক সেবা প্রদানে অংশগ্রহণ করেছে।۴۳۰۰۰۴۹

 

captcha