
ইকনার রিপোর্টে (সূত্র: app.com.pk) বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের ফয়সাল মসজিদে কোরআন হিফজ বিভাগের (تحفیظ القرآن) মাধ্যমে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (IIUI) দাওয়াহ একাডেমি এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এ সময় হাফেজদের কৃতিত্বের পাশাপাশি তাঁদের শিক্ষকদেরও সম্মানিত করা হয়।
মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে জানানো হয়, এ অনুষ্ঠানে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আহমদ সাদ আল-আহমদ প্রধান অতিথি হিসেবে এবং দাওয়াহ একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইলিয়াস সভার সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মুহাম্মদ ইলিয়াস ফয়সাল মসজিদকে ইসলামী সংযম ও নৈতিক সংস্কারের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন, যা প্রতিদিন, বিশেষত শুক্রবারে, হাজার হাজার দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করে।
আহমদ সাদ আল-আহমদ তাঁর বক্তৃতায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের এ মহৎ সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি কোরআন হিফজের আধ্যাত্মিক মর্যাদার কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি আন্তরিক ত্যাগ, রাসূলুল্লাহ (সা.)–এর সুন্নাহর প্রতি অঙ্গীকার এবং কোরআনের গভীর অর্থ নিয়ে চিন্তন-মননের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, কোরআন হিফজ শুধু একটি সাফল্য নয়, বরং আজীবনের অঙ্গীকার—এর শিক্ষা বাস্তবায়ন এবং শান্তি ও সংযমের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি আরও যোগ করেন, আজ আমরা এ সব তরুণ হাফেজদের প্রচেষ্টার জন্য সম্মান জানাচ্ছি এবং তাদেরকে উৎসাহিত করছি যাতে তারা ইসলামী জ্ঞান ও নৈতিকতার আলোকবর্তিকা হয়।
সাদ আল-আহমদ পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জনগণ, রাষ্ট্রনেতা ও সশস্ত্র বাহিনীকে সত্য ও ন্যায় রক্ষায় তাদের ত্যাগের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
তিনি দাওয়াহ একাডেমি এবং গণমাধ্যমকে এ আয়োজন সফল করার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানটি পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সাফল্যের জন্য দোয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। 4300444#