
ইকনা সংবাদদাতার বরাতে জানা যায়, রবিবার (১৮ আaban) তেহরানে মন্ত্রণালয়ের কুরআন ও আহলে বায়ত বিষয়ক উচ্চকেন্দ্রে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন। সভায় পূর্ববর্তী বছরগুলোর আন্তর্জাতিক কুরআন মেলার অভিজ্ঞতা ও মতামত নিয়ে আলোচনা হয়।
আরবাব সোলেইমানি বলেন, “আন্তর্জাতিক কুরআন মেলা ইরানের সবচেয়ে মূল্যবান সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলোর একটি। আজকের এই সমাবেশ কুরআনপ্রেমী ও কর্মীদের মধ্যে ঐক্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার এক সুন্দর উদাহরণ।”
তিনি বর্তমান বিশ্বের অবস্থা উল্লেখ করে বলেন, “মানবজাতি আজ তিনটি বড় সংকটে ভুগছে—রাজনৈতিক, নৈতিক ও অর্থনৈতিক। আর এই সংকটগুলোর মূল কারণ হলো নৈতিক অবক্ষয়। ভোগবিলাস ও দুনিয়ামুখী মানসিকতা সমাজে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী সমস্যার গভীরতা বাড়িয়েছে।”
কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “আল্লাহ তাআলা সূরা ইউনুসের ৫৭ নম্বর আয়াতে বলেছেন: ‘হে মানুষ! তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এসেছে উপদেশ এবং মুমিনদের অন্তরের রোগের প্রতিকার।’ অর্থাৎ আজকের বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণের একমাত্র পথ হলো কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবনযাপন।”
উপমন্ত্রী আরও বলেন, “কুরআন মেলা এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে কুরআনের জ্ঞান, গবেষণা ও অর্জিত সাফল্যগুলো উপস্থাপন করা হয়। এটি যেন এক বিস্তৃত আধ্যাত্মিক ভোজসভা, যেখানে দেশের কুরআনপ্রেমীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও উদ্যোগ পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। আমরা আশা করি, এই মেলার আয়োজনের পথে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা দ্রুত দূর হবে এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ ও সফল আয়োজন সম্ভব হবে।”
তিনি জানান, “এ পর্যন্ত আমরা প্রায় আটটি পরামর্শ সভা আয়োজন করেছি, যাতে বিভিন্ন কুরআন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও পরিচালকগণ অংশ নিয়েছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা উপকৃত হয়েছি।”
আরবাব সোলেইমানি বলেন, “এই কুরআন মেলা কেবল প্রদর্শনীর আয়োজন নয়, বরং এটি হওয়া উচিত শেখার, অভিজ্ঞতা অর্জনের এবং কুরআনের শিক্ষার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ।”
তিনি শেষ বক্তব্যে যোগ করেন, “এই মতবিনিময় সভা নিজেই কুরআনি সমাজের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। আমরা আশা করি, সবার সহযোগিতায় ৩৩তম আন্তর্জাতিক কুরআন মেলা একটি সফল, শিক্ষণীয় ও প্রেরণাদায়ী আয়োজন হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে।” 4315783#