
বিবৃতিতে বলা হয়, RSF বাহিনীর সদস্যরা শত শত মৃতদেহ শহরের রাস্তাঘাট ও আবাসিক এলাকা থেকে সংগ্রহ করে কিছু মৃতদেহ গণকবরে দাফন করে এবং কিছু সম্পূর্ণভাবে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
সুদানিজ ডাক্তার্স নেটওয়ার্ক রবিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে ঘটনাটিকে “মানবতার ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ অমানবিক আচরণ” বলে অভিহিত করে এবং এটিকে “সম্পূর্ণ গণহত্যার নতুন অধ্যায়” হিসেবে বর্ণনা করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই কর্মকাণ্ডগুলো মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চরম অপমান — কারণ ইসলাম ও আন্তর্জাতিক আইন উভয়ই মৃত ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ দাফন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় এবং মৃতদেহ বিকৃত করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে।
সংগঠনটি এই ভয়াবহ অপরাধের পূর্ণ দায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া বাহিনীর নেতৃত্বের ওপর আরোপ করেছে এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা অবিলম্বে একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আল-ফাশারে যা ঘটছে তা কেবল মানবিক বিপর্যয় নয়, বরং এটি একটি পদ্ধতিগত গণহত্যা, যেখানে মানুষের জীবন ও মর্যাদা উভয়ই লক্ষ্যবস্তু।”
এই অভিযোগগুলো আসে গত অক্টোবরের শেষ দিকে আল-ফাশার শহর RSF বাহিনীর দখলে যাওয়ার পর, যখন শত শত মানুষ নিহত হয় এবং হাজার হাজার বাসিন্দা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রগুলো বেসামরিক নাগরিকদের ওপর “ভয়াবহ অপরাধ ও হত্যাযজ্ঞের” খবর দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সুদানে সেনাবাহিনী ও RSF বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে, যখন ক্ষমতার অংশীদার এই দুই বাহিনীর মধ্যে সামরিক একীভূতকরণ পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এরপর থেকেই RSF বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ধর্ষণ ও ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
জাতিসংঘ এই সংঘাতকে বিশ্বের “সবচেয়ে বড় মানবিক উদ্বাস্তু সংকট” হিসেবে অভিহিত করেছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। 4315759#