
CAIR-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রাজ্য, শহর ও শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ে মুসলিম প্রার্থীদের রেকর্ডসংখ্যক অংশগ্রহণ ও বিজয় ঘটেছে।
সংস্থাটি জানায়, মোট ৭৬ জন মুসলিম প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৩৮ জন জয়লাভ করেছেন। কিছু শহরের চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ হয়নি — ফলে বিজয়ী মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এর মধ্যে মিশিগানের হ্যামট্রামক ও ডিয়ারবর্ন শহরে একাধিক মুসলিম প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
CAIR বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে জহরান মামদানির নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়াকে “ঐতিহাসিক মাইলফলক” এবং গজালা হাশিমির ভার্জিনিয়ার উপ-গভর্নর পদে নির্বাচিত হওয়াকে “যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম নারী রাজ্য পর্যায়ের সরকারি পদ লাভের ঘটনা” হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই বিজয়গুলো কেবল মুসলমানদের জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার, সমতা ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণে বিশ্বাসী সকল আমেরিকানের বিজয়।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বহু মুসলিম প্রার্থী বিদ্বেষমূলক প্রচারণা ও ইসলামবিরোধী ভুল তথ্যের তরঙ্গ মোকাবিলা করেও নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী মুসলিম প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন:
• জহরান মামদানি — মেয়র, নিউইয়র্ক সিটি (নিউইয়র্ক)
• গজালা হাশিমি — উপ-গভর্নর, ভার্জিনিয়া
• ফয়েজুল কবির — মেয়র, কলেজ পার্ক (মেরিল্যান্ড)
• আব্দুল্লাহ হামুদ — মেয়র, ডিয়ারবর্ন (মিশিগান)
• হাসান আহমেদ, মোহাম্মদ বেইদুন, মোস্তফা হামুদ — ডিয়ারবর্ন ও ডিয়ারবর্ন হাইটস সিটি কাউন্সিল
• নাইম চৌধুরী, আবু মুসা, ইউসুফ সাঈদ — হ্যামট্রামক সিটি কাউন্সিল (মিশিগান)
• আয়েশা চুগতাই, ওরিন চৌধুরী — মিনিয়াপোলিস সিটি কাউন্সিল (মিনেসোটা)
• আল আবদুলআজিজ — রাজ্য আইনসভা সদস্য (নিউ জার্সি)
• ইউসুফ সালাম, শাহানা হানিফ — নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল
• ফয়সল ফাতেমি, করিম মোফিদ, নাদিয়া রাসুল, মোহাম্মদ ওমর — শিক্ষা বোর্ড, ওহাইও
• কাদির আজমারি হক — ফ্র্যাঙ্কলিন কাউন্টি কোর্ট (ওহাইও)
• হামদি মোহাম্মদ — পোর্ট কমিশনার, সিয়াটল (ওয়াশিংটন)
• সাদিক কামারা — শেরিফ, ডেলাওয়ার কাউন্টি (পেনসিলভানিয়া)
• আতুসা রেইজার, সাম রাসুল — রাজ্য আইনসভা (ভার্জিনিয়া)
CAIR-এর মতে, এই সফলতা যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উপস্থিতি ও গণতান্ত্রিক ভূমিকার প্রতীক। 4315756#