
নিউজ রুমের বরাতে ইকনা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, রুবি শহরে গ্রেপ্তার এই ব্যক্তি “স্প্যানিশ পরিচয়ের রক্ষক” ছদ্মনামে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন। মুখোশ পরে নিজের পরিচয় গোপন রাখতেন। তাঁর অ্যাকাউন্টগুলো নিয়মিত নেতিবাচক, জাতিবিদ্বেষী কনটেন্ট পোস্ট করত — মুসলিম অভিবাসীদের দেশের অপরাধের জন্য দায়ী করে, তাদের জোরপূর্বক বহিষ্কারের আহ্বান জানাত এবং স্বেচ্ছাসেবী দল গঠনের প্রস্তাব দিত।
সবচেয়ে বিতর্কিত ছিল একটি ভিডিও — যেখানে তিনি মুসলিম নারীদের হিজাব পুড়িয়ে ফেলেন। এটিকে ধর্মীয় প্রতীকের প্রতি সরাসরি আক্রমণ ও লাখো মুসলিম নারীর প্রতি অপমান হিসেবে দেখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এটিকে অনলাইনে চরমপন্থী বক্তব্যের গুরুতর বৃদ্ধি ও সহিংসতার উসকানি বলে মনে করেছে।
তদন্ত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় ‘হেট ক্রাইম অ্যান্ড ডিসক্রিমিনেশন’ ইউনিটের তত্ত্বাবধানে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর বাড়ি থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। অভিযোগ: জনসাধারণ্যে ঘৃণা ও বৈষম্যের উসকানি এবং ধর্মীয় প্রতীকের অপমান।
স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে: “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ঘৃণা ছড়ানো বা সহিংসতার উসকানির অনুমতি দেয় না। সমাজে শান্তি ও সহাবস্থান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”
আল-আজহারের চরমপন্থা পর্যবেক্ষক সংস্থা এই ঘটনাকে ইউরোপীয় সমাজের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি সরাসরি হুমকি বলে অভিহিত করেছে। তারা হিজাব পোড়ানো ও মুসলিম বহিষ্কারের আহ্বানকে “মানসিক চরমপন্থার বিপজ্জনক লক্ষণ” বলে সতর্ক করেছে এবং ডানপন্থী চরমপন্থীদের উসকানিমূলক কার্যকলাপ রোধে কঠোর আইনি ও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। 4322371#