
অস্ট্রিয়ার একীভূতকরণ মন্ত্রী ক্লাউডিয়া প্লাকোলম এই আইনকে "মেয়েদের সুরক্ষার জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, "হিজাব কোনো নিরীহ কাপড়ের টুকরো নয়, এটি নিপীড়নের প্রতীক। কোনো মেয়েকে তার শরীর লুকিয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তা শেখানো উচিত নয়।"
আইন অনুসারে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে একটি সচেতনতা অভিযান শুরু হবে, যাতে স্কুলগুলো নতুন নিয়মের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ে ও তার অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করবে। বারবার লঙ্ঘন হলে অভিভাবকদের ১৫০ থেকে ৮০০ ইউরো জরিমানা করা হতে পারে। সরকারের অনুমান, এই আইন প্রায় ১২ হাজার মেয়েকে প্রভাবিত করবে।
এই সংশোধনী ক্ষমতাসীন দলগুলো—পিপলস পার্টি (ÖVP), সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (SPÖ) এবং লিবারেল NEOS—এর ভোটে পাস হয়েছে। বিরোধী দল ফ্রিডম পার্টি (FPÖ)ও এর সমর্থন করেছে। শুধুমাত্র গ্রিন পার্টি এর বিরোধিতা করেছে, তারা এটিকে সংবিধানবিরোধী বলে মনে করে।
অস্ট্রিয়ার ইসলামী ধর্মীয় সম্প্রদায় (IGGÖ) এই আইনের নিন্দা করেছে এবং বলেছে যে, এটি মুসলিমদের উপর সামূহিক সন্দেহ সৃষ্টি করবে এবং সমাজকে বিভক্ত করবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো এটিকে বৈষম্যমূলক এবং ইসলামফোবিয়া বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছে। সমালোচকরা বলছেন, এটি একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অনুরূপ একটি নিষেধাজ্ঞা (১০ বছরের কম বয়সীদের জন্য) সাংবিধানিক আদালত বাতিল করেছিল। নতুন আইনটিও আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।4322435#