বার্তা সংস্থা ইকনা: আজ (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমে প্রকাশ, মারধর ও নির্যাতনের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে বুধবার সমাজকর্মী শাহজাদ পুনাওয়ালা দোষীদের গ্রেফতার করার দাবি করার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বজরং দলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানিয়েছেন।
তিনি উত্তর প্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বুলন্দ শহরে বজরং দলের লোকেরা মুসলিম নারী ও পুরুষকে নির্দয়ভাবে পেটানোর অভিযোগ করেছেন। ভিডিও চিত্রের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, অভিযুক্তরা নারীকেও রেহাই দেয়নি এবং তাকে লাঞ্ছিত এবং মারধর করা হয়েছে।
সমাজকর্মী শাহজাদ পুনাওয়ালা ওই ঘটনাকে দেশে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক পরিবেশের পরিণাম বলে অভিহিত করেছেন।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বিজয় প্রতাপ সিং বলেন, ভিডিও দৃশ্যে থাকা নারী এবং পুরুষ একে অপরের পুরনো বন্ধু। তাদের বিয়ে আলাদা আলাদা জায়গায় হয়েছে।
দু’জনের মধ্যে সাক্ষাৎ হওয়ার সময় বজরং দলের নজর তাদের উপরে পড়ে। তাদের মনে করেছিল এদের মধ্যে একজন মুসলিম। পুলিশের মতে, বজরং দলের জেলা আহ্বায়ক প্রবীণ ভারতী মনে করেন বিষয়টি ‘লাভ জিহাদ’-র ঘটনা। পরে স্পষ্ট হয় দু’জনেই মুসলিম কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের মারধর করা হয়।
পুলিশ বলছে, তাদের কাছে ওই নারী বা পুরুষের কোনো অবৈধ বা বেআইনি কাজের প্রমাণ নেই। পুলিশ ওই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মুসলিম যুবকরা হিন্দু যুবতীদের প্রেমের ছলনায় ধর্মান্তর করে বলে অভিযোগ করে তাকে ‘লাভ জিহাদ’ আখ্যা দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। কিন্তু কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বলে কোনো বিষয় ইসলামে নেই বলে মুসলিম স্কলাররা হিন্দুত্ববাদীদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে ওই ইস্যু নিয়ে ময়দান উত্তপ্ত করতে আসরে নেমে পড়ে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। পার্সটুডে