বার্তা সংস্থা ইকনা: মানুষ যেহেতু শরীর ও আত্মা দিয়ে তৈরি কাজেই তার প্রয়োজনও, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক দুই ভাগে বিভক্ত৷ সুতরাং পূর্ণতায় পৌঁছানোর জন্য দুদিকেই সমানভাবে অগ্রসর হতে হবে৷ ন্যায়পরায়ণতা যেহেতু ঐশী হুকুমতের মূলমন্ত্র কাজেই তা মানুষের দুদিকেই উন্নত করার জামানত দিতে পারে৷
ইমাম হুসাইন (আ.) বলেছেন: যদি মহাপ্রলয়ের মাত্র একটি দিনও অবশিষ্ট থাকে আল্লাহ তায়ালা সে দিনকে এত বেশী দীর্ঘায়ত করবেন যে, আমার বংশ থেকে একজন আবির্ভূত হবে এবং পৃথিবী যেমন: অন্যায়-অত্যাচারে ভরে গিয়েছিল তেমনিভাবে ন্যায়নীতিতে ভরে তুলবেন৷ রাসূল(সা.)-এর কাছে আমি এমনটি শুনেছি (কামালুদ্দিন, খণ্ড-১, বাব ৩০, হাঃ ৪ এবং৫৮৪)৷
ইমাম মাহদী (আ.)-এর হুকুমত সম্পর্কে যে সকল রেওয়ায়তে বর্ণিত হয়েছে তা থেকে বোঝা যায়, তাঁর হুকুমতের প্রধান তিনটি কর্মসূচী রয়েছে এবং তা হচ্ছে: সাংস্কৃতিক কর্মসূচী, সামাজিক কর্মসূচী এবং অর্থনৈতিক কর্মসূচী৷
ইমাম আলী (আ.) ইমাম মাহদী (আ.)-এর কুরআনী হুকুমতকে স্পষ্ট ভাষায় এভাবে বর্ণনা করেছেন: যখন মানুষের নফস হুকুমত করবে তখন (ইমাম মাহদী আবির্ভূত হবেন) এবং হেদায়েত ও সাফল্যকে নফসের স্থলাভিষিক্ত করবেন৷ যেখানে ব্যক্তির মতকে কুরআনের উপর প্রাধান্য দেওয়া হত তা পরিবর্তন হয়ে কোরআনকে সমাজের উপর হাকেম করা হবে (নাহজুল বালাগা খোতবা ১৩৮)৷
তিনি অন্যত্র আরো বলেছেন: আমি আমার শিয়াদেরকে দেখতে পাচ্ছি যে, কুফার মসজিদে তাঁবু বানিয়ে কোরআন যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছিল সেভাবে জনগণকে শিক্ষা দিচ্ছে (গাইবাতে নোমানি বাব ২১, হাঃ ৩, পৃ.-৩৩৩)৷
নৈতিকতার প্রসার, পবিত্র কোরআন ও আহলে বাইতের শিক্ষাতে মানুষের চারিত্রিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে৷ কেননা, মানুষের উদ্দেশ্যের পথে অগ্রগতি ও উন্নতির মূলমন্ত্র হচ্ছে তার উত্তম চরিত্র৷ রাসূল (সা.) নিজেও তাঁর নবুয়্যতের উদ্দেশ্যকে চারিত্রিক গুনাবলীকে পরিপূর্ণতায় পৌঁছানো বুঝিয়েছেন।