বার্তা সংস্থা ইকনা: ইয়াসোফিয়া মসজিদে 'নবী (সা.)এর জন্য ভালবাসা'' নামক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়। দীর্ঘ ৮৫ বছর পর এই মসজিদে আবারও পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের সুমধুর ধ্বনি বেজে ওঠে।
'ইয়াসোফিয়া' মসজিদটি পূর্বে খ্রিস্টানদের একটি গির্জা ছিল। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের আমলে "কনস্টান্টটাইন গ্রেট" সম্রাটের নির্দেশে ৫৩২ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ বছরে ১০০ জন দক্ষ শিল্পীর তত্ত্বাবধানে এক হাজার শ্রমিকের পরিশ্রমের মধ্যমে এই গির্জাটি (বর্তমানে মসজিদ) নির্মিত হয়েছে। এটি প্রথম গির্জা ক্যাথিড্রাল হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল।
ইস্তাম্বুল বিজয়ের পর, অটোমান সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সুলতান মুহাম্মদ গির্জাটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে প্রথম সোলাইমান জুমার নামাজ আদায় কারার জন্য ভবনটি ভিতরের সকল চিত্রকলা এবং মিনিয়েচার সমূহ ঢাকার নির্দেশ দেন এবং দ্বিতীয় সোলাইমান আর্কিটেক্ট সিনানকে ভবনটি পুনর্নির্মাণের জন্য নির্দেশ দেন। অটোমান সাম্রাজ্যের তৃতীয় মুরাদ নামের অপর এক রাজা মসজিদটি পরিপূর্ণ করার জন্য মিনার এবং মেহরাব নির্মাণ করার জন্য নির্দেশ দেন। চতুর্থ মুরাদের সময়ে মসজিদের দেয়াল এবং ছাদে 'মুস্তাফা চালবি' বর্ণমালায় কুরআনের আয়াতসমুহ লেখা হয়।
জমিন থেকে মসজিদের গম্বুজের উচ্চতা ৫৫ মিটার এবং ব্যাসার্ধ ৩১ মিটার। মসজিদের গম্বুজটি ৪টি স্তম্ভের ওপর অধিষ্ঠিত রয়েছে।
তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা করার পর এবং আতাতুর্ক ক্ষমতায় আসার পর 'ইয়াসোফিয়া' মসজিদটি একটি যাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছিল এবং এপর্যন্ত যাদুঘর হিসেবেই ছিল।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তুরস্কের ধর্মীয় এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে 'নবী (সা.)এর জন্য ভালবাসা'' প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দীর্ঘ ৮৫ বছর পর এই মসজিদে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের সুমধুর ধ্বনি বেজে উঠেছে।