বর্তমানে তার বয়স ১৮। উক্ত শহরের প্রথম নারী কুরআন হাফেজ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। প্রোশাভা শহরে বর্তমানে দু'জন কুরআন হাফেজ রয়েছেন। যাদের মধ্যে একজন 'আল-মা যায়নুল্লাহ'।
'আল-মা যায়নুল্লাহ' নিজের কুরআন হেফজ করার সম্পর্কে বলেন: প্রথম দিকে পবিত্র কুরআনের আয়াত হেফজ করা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। কারণ তখন আমি আরবি বর্ণমালার সাথে পরিচিত ছিলাম না। কুরআন শিক্ষা অর্জনের জন্য এক শিক্ষক আমাকে সহযোগিতা করেন। তার সহযোগিতায় আমি রুখানি পড়তে শিখি এবং তখন থেকেই আমি কুরআন হেফজ করতে শুরু করি।
কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রাত্যহিক জীবনে উত্তম প্রভাবের ব্যাপারে 'আল-মা যায়নুদ্দিন' বলেন: কুরআন হেফজ করার পর আমার একাডেমিকাল লেখাপড়ারও উন্নতি হয়। জীবনের উন্নতির ক্ষেত্রে কুরআন প্রভাব সম্পর্কে আমি পূর্বে অনবহিত ছিলাম। আমি কুরআন থেকে জীবনের শিক্ষা অর্জন করি। আমার দৃষ্টিতে কুরআন তিলাওয়াতের চেয়ে অন্য কোন অনুভূতি উত্তম নয়।
তিনি আরও বলেন: কেউ কেউ মনে করে যে, নারীরা কঠিন ও ভারি কার করতে অক্ষম। আমার দৃষ্টিতে নারীদের প্রকৃতি এমন যে, তাদের দৃঢ় পরিকল্পন ও ইচ্ছার মাধ্যমে সমাজে ভিত্তিমূলক কাজ করতে পারে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উত্তম ভবিষ্যৎ গড়তে পারে।