বার্তা সংস্থা ইকনা: ইমাম হুসাইনকে যে বিশ্বের সকল ধর্মের মানুষ ভালবাসে তার মূল কারণ হচ্ছে ইমাম হুসাইন(আ.) মানবতাকে মুক্তি দিতে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি হচ্ছেন স্বাধীনচেতা মানুষদের মুক্তির দূত।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন, "নিশ্চয়ই প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে হুসাইনের (আ.) শাহাদতের ব্যাপারে এমন ভালবাসা আছে যে, তার উত্তাপ কখনও প্রশমিত হবে না।" যারা হুসাইনের জন্য কাঁদবে তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদও দিয়ে গেছেন বিশ্বনবী (সা.)।
খ্রিস্টান গবেষক অ্যান্টন বারা: যদি হুসাইন (আ.) আমাদের খ্রিস্টানদের মধ্য থেকে হতেন তাহলে প্রত্যেক দেশেই তাঁর জন্য পতাকা উড়াতাম এবং প্রত্যেক গ্রামেই তাঁর জন্য মিম্বার স্থাপন করতাম। আর মানুষকে হুসাইন (আ.)’র নামে খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি আহ্বান জানাতাম।
মিশরের প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা মরহুম মুহাম্মাদ জগলুল পাশা: ইমাম হুসাইন (আ.) এ কাজের মাধ্যমে নিজের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ফরজ পালন করেছেন। এ ধরনের শোক মজলিসগুলো মানুষের মধ্যে শাহাদতের মন মানসিকতা গড়ে তোলে এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে তাদের অভিপ্রায়কে বলীয়ান করে।
খ্রিস্টান পণ্ডিত ও সাহিত্যিক জর্জ জুরদাক: ইয়াজিদ যখন ইমাম হুসাইন (আ.)-কে হত্যার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করত এবং রক্তপাত ঘটানোর নির্দেশ দিত তখন তারা বলত, কতো টাকা দেবেন? কিন্তু ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সঙ্গীরা তাঁকে বলতেন, আমরা আপনার সঙ্গে রয়েছি। আমাদেরকে যদি সত্তর বারও হত্যা করা হয় তবুও পুনরায় আপনার পক্ষে যুদ্ধ করতে ও নিহত হতে চাইব।
ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান নেতা মহাত্মা গান্ধী: আমি মনে করি ইসলাম তরবারির জোরে নয়, বরং ইমাম হুসাইন (আ.)'র চরম বা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ফলেই বিকশিত হয়েছে।
ইমাম হুসাইনের ৭২ জন সেনার মত সেনা যদি আমার থাকতো তাহলে আমি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের স্বাধীনতা এনে দিতে পারতাম।
মাওলানা মোহাম্মাদ আলী জওহার: কাতলে হুসাইন আসল মে মারগে ইয়াজিদ হ্যাঁয়, ইসলাম জিন্দা হোতা হায় হার কারবালা কে বাদ।
অর্থাৎ হুসাইনের নিহত হওয়ার ঘটনা আসলে ইয়াজিদেরই মৃত্যু, ইসলাম প্রতিটি কারবালার পর পুনরুজ্জীবিত হয়।